সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর ১৮ নয়। শিগগিরই মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়সসীমা হতে চলেছে ২১ বছর। বুধবারই এই সংক্রান্ত প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। এবার এই প্রস্তাব বিলের আকারে পেশ হবে সংসদে। বিলটি সংসদে পাশ হয়ে গেলেই তা আইনে পরিণত হবে। যার ফলে পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যেকার বিয়ের বয়সের ব্যবধানের কয়েক দশক ধরে চলে আসা ফারাক এবার ঘুচতে চলেছে।
আপাতত বাবা-মায়ের আইনসম্মত অনুমতি থাকলে ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারেন মেয়েরা। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই সরকার ভাবনা চিন্তা করছিল যদি এই বয়সটা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেওয়া যায়। গত অক্টোবরে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, মেয়েদের বিয়ের বয়স বেড়ে হতে পারে ২১ বছর। বর্তমানে শিক্ষা, চাকরি-সহ অনেক ক্ষেত্রেই মহিলাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েদের বিয়ের ১৮ বছরের নির্ধারিত ন্যূনতম বয়স (Women Marriage age) পুনর্বিবেচনার দাবি উঠছে বহুদিন ধরেই।
[আরও পড়ুন: এবার আধারের সঙ্গে লিংক করাতে হবে ভোটার কার্ডও! নয়া প্রস্তাবে সায় কেন্দ্রের]
সেই দাবি মেনেই কেন্দ্র পদক্ষেপ করে।গত বছরের জুন মাসে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক মেয়েদের বিয়ের বয়স পুনর্বিবেচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে। এ মাসেই সেই কমিটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্টে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সেই প্রস্তাবেই ছাড় দিল বুধবার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী হতে পারে। কারণ, এর ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বড়সড় বদল আসার সম্ভাবনা আছে। মহিলাদের সামাজিক অবস্থানও বদলে যাবে।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত বিপিন রাওয়াতের ছেড়ে যাওয়া পদে এলেন সেনাপ্রধান নারাভানে, জল্পনা CDS হওয়া নিয়েও]
শেষবার বিয়ের বয়স সংক্রান্ত আইন সংশোধন করা হয়েছিল ১৯৭৮ সাল। সেসময় মেয়েদের বিয়ের ন্যুনতম বয়স ১৮ বছর করে তৎকালীন সরকার। সেইমতো পুরুষের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তবে বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোয় সেই নিয়মে পরিবর্তন আনা জরুরি বলে মনে করছে কেন্দ্র। সেকারণেই মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানো হচ্ছে।