সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইনে খাবার অর্ডার দিয়েও পাননি। ফুড ডেলিভারি সংস্থা সুইগির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) টুইট করে খোলা চিঠি লিখেছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee )। আর এই ঘটনার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। নেটিজেনদের একাংশ প্রসেনজিৎকে নিয়ে শুরু করে দেয় ট্রোল। রাতারাতি প্রসেনজিৎকে নিয়ে নানা মিমও তৈরি হয়। যা ঝড়ের মতো ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুক, টুইটারে। প্রসেনজিতের এই টুইটকে সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মন্তব্য করেন, সেলিব্রিটি হওয়ার কারণেই প্রসেনজিতের এরকম আচরণ। অনেকের কথায়, খবরে আসার জন্যই নাকি এরকম টুইট করেছেন টলিউডের সুপারস্টার।
সম্প্রতি এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বলেন, ”আমার টুইট একেবারেই অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায় হিসেবে নয়, এক সাধারণ নাগরিক হিসেবে। আমি টুইটারে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর নাম এনেছি, তার কারণ হল, আমার মনে হয় সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।”
এই সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ আরও বলেন, ”যদি কেউ ওষুধ অর্ডার করে আর তার ডেলিভারি না হয়, তাহলে তো বিপদ ঘটতে পারে। বাড়িতে রান্না করতে ইচ্ছে না করলে কিংবা অতিথি এলেই মূলত আমরা অনলাইনে খাবার অর্ডার করি। খাবার ডেলিভারি না হলেও তা ডেলিভারি হয়েছে বলে দেখায়, তাহলে কি আমরা না খেয়ে বসে থাকব! এটা কোনও পোশাক অর্ডার করা হয়নি, যার জন্য অপেক্ষা করা যায়।”
[আরও পড়ুন: ট্রেনের মহিলা কামরায় উঠে যুবকের হস্তমৈথুন! ভিডিও শেয়ার করে পুলিশের সাহায্য চাইলেন স্যান্ডি সাহা]
ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছিল? শনিবার আড়াইটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইটারে চিঠিটি শেয়ার করেন প্রসেনজিৎ (Prosenjit Chatterjee)। দু’জনকে উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লেখেন, “আমার একটি সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা আপনাদের জানাতে চাই। গত ৩ নভেম্বর খাবার সরবরাহকারী সংস্থা সুইগিতে একটি অর্ডার দিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখানো হয় খাবারটি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমি তা পাইনি। বিষয়টি সুইগি কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর টাকা ফিরিয়ে দেয় যেহেতু টাকা আগে দেওয়া হয়ে গিয়েছিল।”
টাকা ফেরত পেয়ে গেলেও এই অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে শেয়ার করার তাগিদ অনুভব করেন প্রসেনজিৎ। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, “যদি কেউ অতিথিদের জন্য খাবার অর্ডার দিয়ে শেষপর্যন্ত না পান তাহলে কী হবে? অতিথিরা কি অভুক্ত থাকবেন? ” প্রশ্ন তোলেন প্রসেনজিৎ। এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। সেই কারণেই এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছিলেন টলিউড সুপারস্টার।