বিক্রম রায়, কোচবিহার: দিনহাটার ওকরাবাড়ির পর পুঁটিমারি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত। আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে অশান্তি, ভাঙচুর। পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন বিক্ষোভকারীরা। রবিবার দিনভর ভিতরে আটকে থাকলেন পঞ্চায়েত আধিকারিকরা। আর তা নিয়ে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে শনিবার বিক্ষোভ, ভাঙচুর হয়েছিল কোচবিহারের দিনহাটা ওকরাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। রবিবার প্রায় একই ঘটনা ঘটল পুঁটিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে। এদিন পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে আবাস যোজনার তালিকা অনুমোদন করার জন্য বৈঠক শুরু হয়েছিল। পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে ব্লকের পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক অরিজিৎ সরকারও উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও ছিলেন। বৈঠকে তালিকা প্রকাশ করা হয়। অভিযোগ, এরপর বাসিন্দাদের একাংশ গোলমাল পাকাতে শুরু করেন। ক্রমে সেই ঝামেলা তুমুল আকার নেয়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। মুহূর্তে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। পঞ্চায়েত সদস্যরা ও পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক এক সময় পালিয়ে পঞ্চায়েতের ভিতর আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা পঞ্চায়েত অফিসের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। ভিতরে আটকে পড়েন আধিকারিকরা। বাইরে চলতে থাকে দেদার ভাঙচুর। দিনহাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পঞ্চায়েত অফিসের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় আধিকারিকদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে যে তালিকার খসড়া হয়েছিল, তাতে পাঁচশোর উপর নাম ছিল। কিন্তু এদিন যে তালিকা অনুমোদন করা হয়, তাতে সাড়ে তিনশো পরিবারের নাম রয়েছে। তালিকায় অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলতে থাকেন তাঁরা। পঞ্চায়েত আধিকারিকদের পালটা অভিযোগ, যাঁদের তালিকায় নাম নেই, তাঁরাই এই ভাঙচুর ঘটিয়েছে। ব্লকের পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক অরিজিৎ সরকার জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের দাবি জানানো হবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।