অর্ক দে, বর্ধমান: একাধিক ইস্যুতে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় (Burdwan University)। মূল ফটকের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে এসএফআই (SFI) ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ভিতরে আটকে রয়েছেন সহ উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হলেও রেজাল্টের হার্ড কপি দেওয়া হচ্ছে না। এ বছর তো অ্যাডমিট ছাড়াই হয়েছে একাধিক পরীক্ষা। এর পিছনে দুর্নীতির যোগ রয়েছে দাবি বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। এই সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের দাবিতে উপাচার্যর অফিস ঘেরাও করে পড়ুয়ারা। তাঁদের আরও দাবি. বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের মানোন্নয়ন, ন্যাকের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ণ করতে হবে। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত, প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন পড়ুয়ারা।
[আরও পড়ুন: পিৎজার মণ্ডের উপর ঝুলছে শৌচালয় পরিষ্কারের ব্রাশ! নিন্দার ঝড় নেটদুনিয়ায়, কী সাফাই সংস্থার?]
এদিন সকালে বাদামতলা মোড় থেকে মিছিল করে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এসএফআইয়ের পড়ুয়ারা। মূল ফটকে তালা লাগানো ছিল। ইঁট দিয়ে সেই তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। চলে স্লোগান, দাবি দাওয়া জানানোর পালা। তবে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন না। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে আটকে রয়েছেন সহ উপাচার্য। ছাত্রদের দাবিদাওয়া না মানা হলে আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল পরীক্ষা হয় অ্যাডমিট ছাড়াই। হোয়াটসঅ্য়াপ রোল নম্বর,নাম দিয়ে কোনও ফটো আইডেনটিটি ছাড়াই নেওয়া হয় পরীক্ষা। এই অভিযোগে তুমুল বিতর্ক দানা বাঁধে। অভিযোগ ওঠে দুর্নীতির। কেন এমন ঘটনা ঘটেছিল, তা জানতে ইতিমধ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে কর্তৃপক্ষের দাবি, অন্য কোনও পরীক্ষা অ্যাডমিট ছাড়া হবে না। এই সমস্ত অব্যবস্থার বিরুদ্ধে এদিন আন্দোলনে নামে পড়ুয়াদের একাংশ।