সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব বিতর্কে উত্তাল ইরানের (Iran) জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল হ্যাক করে নিল প্রতিবাদীরা। শনিবার স্থানীয় সময় রাত ন’টা নাগাদ খবরের অনুষ্ঠান চলাকালীন এই ঘটনা ঘটেছে। হঠাৎ ইরানের শাসক আয়াতোল্লা খোমেইনির মুখ ভেসে ওঠে। তাঁকে নিশানা করে বেশ কয়েকটি কথা লেখা হয় টিভিতে। সেই বার্তাগুলি থেকেই বোঝা যায়, হিজাব (Hijab Row) কাণ্ডে সরকারের বিরোধিতা করেই এই কথা লেখা হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ইরানের সরকার।
ঠিক কী ঘটেছিল? শনিবার রাত ন’টা নাগাদ ইরানের জাতীয় টেলিভিশনে খবরের সম্প্রচার করা হচ্ছিল। সেই সময়ে আচমকা টিভিতে ভেসে ওঠে খোমেইনির মুখ। সেই সঙ্গে তাঁকে নিশানা করে বেশ কয়েকটি বার্তা লেখা হয়। সেই কথাগুলির মধ্যে অন্যতম হল, “দেশের যুবসমাজের রক্ত ঝরে পড়ছে আপনার হাত থেকে।” সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে সামিল হতে ডাক দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের হাত থেকে জাপরজাই দখল করে মিসাইল হানা রাশিয়ার, মৃত অন্তত ১৭]
খোমেইনির (Ayatollah Khamenei) সঙ্গে টিভিতে দেখানো হয় মাহসা আমিনির ছবিও। সেই সঙ্গে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে গিয়ে যে তিন তরুণীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের ছবিও দেখানো হয়। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি এই দৃশ্য। মাত্র কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই এই দৃশ্য বদলে যায়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আবার খবরের সম্প্রচার হতে থাকে। ইরানের সর্বোচ্চ শাসকের বিরুদ্ধে এহেন প্রতিবাদ একেবারেই চোখে পড়ে না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই প্রতিবাদ একেবারে নজিরবিহীন।
অন্যদিকে, বিক্ষোভে অংশ নিতে গিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে ইরানে। শনিবারই প্রতিবাদীদের সমর্থনে গাড়ির হর্ন বাজানোর কারণে এক ব্যক্তিকে গুলি করে মারা হয়। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গলায় গুলি লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন এক তরুণী। প্রতিবাদীদের সমর্থনে বহু দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে ইরানে। প্রসঙ্গত, মানবাধিকার সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিবাদে সামিল হতে গিয়ে ইরানে অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব রয়েছে ইরানের সরকার।