সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পদত্যাগ করতে হবে 'হাসিনার বন্ধু' বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকেও। এই দাবিতে মঙ্গলবার থেকেই সরব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। পরে রাতে তাঁরা বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সংঘর্ষে অন্তত ৫ জনের আহত হওয়ার কথা জানা গিয়েছে।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগই কেবল নয়, মোট পাঁচ দফা দাবি রয়েছে আন্দোলনকারীদের। যার মধ্যে রয়েছে সংবিধান বাতিল কিংবা আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনকে জঙ্গি তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করার মতো দাবি। সেই সঙ্গে আরও দাবি, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল তা বেআইনি বলে ঘোষণা করতে হবে এবং যে প্রতিনিধিরা এই নির্বাচনে জিতে সংসদের সদস্য হয়েছেন তাঁদের সদস্যপদও বাতিল বলে ঘোষণা করতে হবে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই নতুন করে উত্তপ্ত ঢাকা। যার কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন 'বঙ্গভবন'।
জানা গিয়েছে, মধ্যরাতে বঙ্গভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, ''রাষ্ট্রপতি হাসিনা সরকারের বন্ধু ছিলেন। ওঁকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে।'' প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সাফ জানান, তাঁর কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নেই। এতেই নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। সাহাবুদ্দিনের এহেন মন্তব্য মোটেই ভালো ভাবে নেয়নি ড. মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তদের মধ্যেও। আর তা নিয়েই নতুন করে দানা বেঁধেছে বিক্ষোভ।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। গদি হারিয়ে এখন তিনি ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন। প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক পালাবদলের। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, হাসিনার মতোই পরিণতি হবে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের? জনরোষে গদি হারাতে হবে তাঁকে? সূত্রের দাবি, ২৫ তারিখে সেনাপ্রধান আমেরিকা থেকে ফিরছেন। তিনি ফেরার পরই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার কথা ভাবছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।