সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাবে কত মৃত্যু হয়েছে? সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে সেই তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে মঙ্গলবার চিঠি পাঠাল কেন্দ্র। আগামী ১৩ আগস্টের মধ্যে কেন্দ্রের সামনে বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরতে হবে।
গত এপ্রিলে এক ভয়াবহ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল দেশ। করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই প্রকট হয়ে ওঠে অক্সিজেন (Oxygen) ও হাসপাতালে বেডের অভাব। কিন্তু গত মঙ্গলবার খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই রাজ্যসভায় কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Second Wave) সময় অক্সিজেনের অভাবে কোনও মৃত্যুর খবর তাদের কাছে নেই। পাশাপাশি এও বলা হয়, স্বাস্থ্য রাজ্যের বিষয়। কিন্তু কেন্দ্রের এমন উত্তরে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় ওঠে। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর হার শূন্য তথ্যের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। এবার কেন্দ্র তাই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের কাছে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর সঠিক তথ্য চাইল।
[আরও পড়ুন: করোনায় বাংলায় অনাথ মাত্র ২৭ শিশু! রাজ্যের পরিসংখ্যান বিশ্বাসই করল না Supreme Court]
সরকারের তরফে বলা হয়েছে, “আজ সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে চিঠি দিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর অক্সিজেনের আকালে কতজনরে মৃত্যু হয়েছে। বারবার আমাদের এ নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। সেই কারণেই তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে।” বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার আগে এই তথ্য জমা দিতে হবে। সে জন্য়ই ১৩ আগস্টের মধ্যে পরিসংখ্য়ান পাঠাতে বলা হয়েছে।
ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে একাধিক বিদেশি সমীক্ষা। তাদের দাবি, মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা গোপন করা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানায়, তথ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে। যদি কিছু সংখ্যা কম-বেশি হয়ে থাকে, তবে তা একান্তই অনিচ্ছাকৃত।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাজ্যসভায় লিখিতভাবে প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেস (Congress) সাংসদ কেসি বেণুগোপাল। গত তিন মাসে রাজ্যগুলির তরফে কেন্দ্রের কাছে কত পরিমাণ অক্সিজেন চাওয়া হয়েছিল সে প্রসঙ্গেও জানতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে ফের বহু রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। সুতরাং এবার যেন আর অক্সিজেনের ঘাটতি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রকে। তারই উত্তরে কেন্দ্র জানায়, স্বাস্থ্য একান্তই রাজ্যের বিষয়। এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যমন্ত্রককে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হিসেব দেওয়া উচিত রাজ্যগুলির। তবে সেই সঙ্গেই দাবি করা হয়, ‘‘যদিও অক্সিজেনের অভাবে কোনও মৃত্যুর কথাই রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি জানায়নি।’’