সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবার পর বন্দিদশা থেকে মুক্তি ছেলেরও। আজই ছাড়া পাচ্ছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। জনসুরক্ষা আইনের (PSA) যে ধারায় মামলা চলছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল তাঁর উপর থেকে। এবার অপেক্ষা আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মুক্তির আদেশের।
গত বছরের আগস্টে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর সেখানকার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতাদের গৃহবন্দি করা হয়েছিল। আটক করা হয় মেহবুবা মুফতিকেও। ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মুফতি – তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নজরবন্দি করে রাখা হয়। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করে তাকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পর রাজ্যে কোনও অশান্ত পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা করেছিল কেন্দ্র। যে অশান্তিতে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতাদের ইন্ধন জোগানোর আশঙ্কাও ছিল। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লাদের গৃহবন্দি করা হয়। সেপ্টেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে জনসুরক্ষা আইনে মামলা শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল রিলায়েন্স গ্রুপ, ২ সপ্তাহে তৈরি নতুন হাসপাতাল]
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওমর আবদুল্লার বোন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেন। শুনানিতে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের উদ্দেশে জানায়, কাশ্মীরের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। ওমর আবদুল্লার প্রতি আর কী কী নির্দেশ আছে যে তাঁকে বন্দি করে রাখতে হবে, এই প্রশ্নও তোলা হয়। ওমরের মুক্তির দাবিতে সরব হন প্রায় সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। এতদিন ধরে বন্দিদশার জেরে ওমর আবদুল্লার চেহারাই বদলে গিয়েছিল, যা দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ছবিটি নিয়ে তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে টুইটও করেন।
এরপরই ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতাকে ছাড়তে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। গত ১৩ মার্চ ওমরের বাবা ফারুক আবদুল্লার উপর থেকে জনসুরক্ষা আইনের মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সেদিন থেকেই ওমরের মুক্তি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। ফারুক আবদুল্লা ছাড়া পেয়েই ছেলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এবার সেই সুদিন এল পুত্র ওমরের জীবনেও। আজ তিনি গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে প্রকাশ্যে আসছেন।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে লকডাউন জারি হতেই শাহিনবাগ খালি করে দিল পুলিশ]
The post জনসুরক্ষা আইন প্রত্যাহার, বাবার পর বন্দিদশা থেকে মুক্ত ওমর আবদুল্লাও appeared first on Sangbad Pratidin.