সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চন্দিরা প্রিয়াঙ্গা (Chandira Priyanga)। ৪০ বছর বাদে প্রথম কোনও মহিলা হিসাবে পুদুচেরির মন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু দু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁকে ইস্তফা দিতে হল। অভিযোগ, মন্ত্রিসভার অন্দরেই লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। এমনকী তাঁকে জাতিবিদ্বেষেরও শিকার হয়ে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই মন্ত্রী।
প্রিয়াঙ্গা নিজে তফসিলি জাতিভুক্ত মহিলা। পুদুচেরির তফসিলি উন্নয়ন, পরিবহণ এবং শিল্প-সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। বুধবার সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে তিনি স্পষ্ট করে লিখেছেন, “প্রতিনিয়ত তাঁকে জাতি এবং লিঙ্গ বৈষম্যমূলক কথাবার্তা বলা হচ্ছে। সবকিছুর একটা সীমা থাকে। সীমা পেরিয়ে গেলে সহ্য করা যায় না।” নিজের ইস্তফাপত্র মুখ্যমন্ত্রী এন আর রঙ্গস্বামীকে (NR Rangaswamy) পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান, ভারতের বিরুদ্ধে কালো ব্যান্ড পরে মাঠে রশিদরা]
২০২১ সালে বিজেপি (BJP) এবং অল ইন্ডিয়া এন আর কংগ্রেস জোট পুদুচেরিতে সরকার গঠন করে। সেসময় প্রিয়াঙ্গাকে তফসিলি উন্নয়ন, পরিবহণ এবং শিল্প-সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী করেন এন আর রঙ্গস্বামী। কিন্তু প্রিয়াঙ্গার অভিযোগ, গত দু বছরে তাঁকে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী রঙ্গস্বামী সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে, মেজাজও হারান তিনি।
[আরও পড়ুন: ICC World Cup: মেন্টর নন, বিশ্বকাপে রশিদ খানদের ‘ট্যুর গাইড’ জাদেজা!]
প্রশ্ন উঠছে, যে রাজ্যে খোদ মন্ত্রিসভায় মহিলা মন্ত্রীকে হেনস্তা করা হচ্ছে, সেখানে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন লোকসভা এবং বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করছেন, তখন তাঁর দলেরই সরকারে মহিলা মন্ত্রীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। যা অস্বস্তিতে ফেলছে বিজেপিকে।