shono
Advertisement

‘মিস শেফালি, হেলেনজির ক্যাবারে ডান্স দেখেই হোমওয়ার্ক করেছি’: পূজা

‘মিস এলিনা’ হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন অভিনেত্রী।
Posted: 08:45 PM Jan 27, 2024Updated: 08:45 PM Jan 27, 2024

‘মিস এলিনা’ হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনলেন শম্পালী মৌলিক

Advertisement

অনেকদিন পরে বাংলা কাজ করছেন আড্ডাটাইমস-এ ‘ক‌্যাবারে’ সিরিজের জন‌্য রাজি হলেন কী ভেবে?
– আসলে অনেকদিন পর বাংলায় কাজ রিলিজ হচ্ছে (আজ থেকে স্ট্রিমিং)। শেষ বছরটা বাংলায় কাজ করেছি কিন্তু রিলিজ কোনওটা হয়নি এখনও। ফাইনালি ‘ক‌্যাবারে’ আসছে প্রথম এই বছরে। আর দ্বিতীয় অংশের উত্তরে বলি– ‘ক‌্যাবারে’ নামটা শুনেই আমি উত্তেজিত ছিলাম। আমি নাচ ভালোবাসি। আমার জন‌্য কাজটা চ‌্যালেঞ্জিং ছিল। দ্বিতীয়ত, সবসময় চেষ্টা করি নতুন কিছু করতে। ‘ক‌্যাবারে’ শব্দটা শুনলেই মাথায় একটা সময়কাল আসে। কারণ, এখন তো আর ক‌্যাবারে দেখার সুযোগ নেই। ওই সময়কার পার্ক স্ট্রিট, মুলা রুজ বা যা যা চলছিল– নকশাল আন্দোলন সব এক ধাক্কায় উঠে আসে মনে। আমার লুকটা এখানে বেশিরভাগ সময় রেট্রো তবে অনেক বদল আছে। আমার যে চরিত্র ‘খুশি’, তাকে লোকে ভালো চোখে দেখত না সমাজে তখন। এসব মিলিয়ে-মিশিয়ে গল্পটা। ডেফিনিটলি রাজি হওয়ার একটা কারণ ‘ক‌্যাবারে’।

আর একটা?
– আর হিরোইন হিসাবে পারফরম‌্যান্স বা অভিনয় দেখানোর সুযোগ কম আসে। সবসময় গ্ল‌্যামারে ঢাকা পড়ে যায়। সেখানে অভিনয় দেখানোর সুযোগ এলে, মনে হয় করতেই হবে। এটাও প্রমাণ করার আছে। কারণ, লোকেদের ধারণা, কমার্শিয়াল ছবির হিরোইন মানে শুধুই নাচগান করবে, আই ক‌্যান্ডি হয়ে থাকবে। এই সিরিজে আমার নো মেকআপ লুক আছে, আবার প্রচণ্ড গ্ল‌্যামারাস লুকও রয়েছে। কারণ, ‘খুশি’র জার্নি থেকে তার ‘মিস এলিনা’ হয়ে ওঠা ধরা আছে। কী অবস্থার মধ‌্য দিয়ে যায় সে, এলিনা হয়ে ওঠার পর কীসের সম্মুখীন হচ্ছে সেটাও দেখার।

পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়, ছবি: ইনস্টাগ্রাম

নাচের জন‌্য আলাদা কোনও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?
– অ‌্যাকচুয়ালি খুব বেশি সময় পাইনি। তবে একটা জিনিস করেছিলাম– ওই সময়ের ক‌্যাবারে পারফরম‌্যান্সের ক্লিপ দেখেছি। মিস শেফালি বা হেলেনজির কাজ দেখেছি। এই ডান্স পারফরম‌্যান্সে সবারই নিজস্ব
স্টাইল আছে। কার কোনটা ভালো, দেখে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। তারপর পারফরম‌্যান্সে নিজস্বতা এনেছি। ক‌্যাবারে খুব শক্ত ডান্স ফর্ম।

উৎসব মুখোপাধ‌্যায়ের পরিচালনায় ‘ক‌্যাবারে’, ওঁর সঙ্গে কি আগে কাজ করেছিলেন?
– উৎসবের সঙ্গে আমি আগে কাজ করেছিলাম প্রোডিউসার হিসাবে। তখন উৎসব ‘কর্কট’ পরিচালনা করেছিল। ‘ক‌্যাবারে’-তে অভিনেতা হিসাবে ওর সঙ্গে প্রথমবার কাজ করলাম। প্রথম প্রোডাকশনেও ওর সঙ্গে কাজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এখনও খুব খুশি উৎসবের কাজে। কারণ, হি ইজ ভেরি প‌্যাশনেট। ওর ভিশন খুব ক্লিয়ার, যেটা আমার খুব ভালো লাগে।

এরপর কি আরও বাংলা কাজ করতে চান?
– (হাসি) আমি তো করছি। দুটো ছবি গতবছর করেছি। কবে রিলিজ হবে
জানি না। একটা বুম্বাদার অপোজিটে, রাজা চন্দর পরিচালনায়। আরেকটা নারীকেন্দ্রিক ছবি, নতুন পরিচালক শিবাজির কাজ। আর সাউথের একটা আইটেম সং করেছি, সেটা এ বছর রিলিজ।

এখনও কলকাতার কাজ উপভোগ করেন?
– নিশ্চয়ই (হাসি)। আমি নিজেকে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অংশ বলেই মনে করি। তবে ওই মুম্বই-কলকাতা মিলিয়েই থাকি। ওটা আমার শ্বশুরবাড়ি, এটা বাপের বাড়ি (হাসি)।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement