কল্যাণ চন্দ, বহরমপর: দশমীর বিকেলে ভারাক্রান্ত মনে এলাকার আর পাঁচজনের মতোই প্রতিমা বিসর্জনে শামিল হয়েছিলেন তাঁরা। নৌকায় দেবী প্রতিমার সঙ্গেই পৌঁছে গিয়েছিলেন মাঝনদীতে। সেখান থেকে আর ফিরে আসা হল না ৫ যুবকের। কয়েকঘণ্টা পর নদীতেই মিলল তাঁদের নিথর দেহ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বেলডাঙ্গায় (Beldanga)। দেবীপ্রতিমার সঙ্গেই এলাকার তরতাজা পাঁচ যুবক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় (২৩), পিঙ্কন পাল (২৩), সুখেন্দু দে (২০) নিপন হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায় (৩৪) , সোমনাথ হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায় (২৩) বিসর্জনে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
সোমবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার হাজরা বাড়ির দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ডুমনি নদীতে। এলাকার আরো কয়েকটি দুর্গা প্রতিমাও সেইসময় ছিল নদীতে। নদীতে চলছিল শোভাযাত্রা। সেই সময় হঠাৎ করে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে উলটে যায় প্রতিমা ও যাত্রীবোঝাই একটি নৌকা। একই সঙ্গে পাশের নৌকাটিও উলটে যায়। তাতে থাকা যাত্রীরা সাঁতরে পাড়ে ওঠার চেষ্টা করেন। বেশ কয়েকজন উঠেও পড়েন। পরে সন্ধের পর বোঝা যায় যে ওই নৌকায় থাকা বেশ কয়েকজন নিখোঁজ। এরপরই খোঁজাখুঁজি শুরু হয় নদীতে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
[আরও পড়ুন: মহামারী পরিস্থিতিতে বাঁচল ঐতিহ্যটুকুই, দুই বাংলার ভাসানের বিবর্ণ ছবি ইছামতীর বুকে]
সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালিয়ে মোট পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ আরও কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে ডুমনি নদীতে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। বিসর্জনের রাতেই নিস্তব্ধতা গ্রাস করেছে জমজমাট বেলডাঙাকে।