shono
Advertisement

‘আপনি শুধু নিজের কথা ভেবেছেন’, সুইসাইড নোটে মোদিকে কাঠগড়ায় তুলে আত্মহত্যা কৃষকের

সুইসাইড নোটে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবি জানান কৃষক।
Posted: 06:09 PM Sep 19, 2022Updated: 09:44 PM Sep 19, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার জঙ্গলে ৮টি চিতা ছেড়ে রাজকীয় কায়দায় জন্মদিন পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সোমবার সুইসাইড নোটে নিজের মৃত্যুর জন্য মোদিকে দায়ী করে আত্মহত্যা করলেন দেশের এক কৃষক (Farmer Suicide)। মৃত্যুর আগেও সৌজন্যবোধে অবিচল ছিলেন ওই কৃষক, প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান তিনি। পরে জানান অভিযোগের কথা। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এই কৃষকের মৃত্যু ও সুইসাইড নোট আলোড়ন ফেলেছে গোটা দেশে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৪৫-এর ওই কৃষকের নাম দশরথ লক্ষ্মণ কেদারি (Dashrath Lakshman Kedari)। তিনি পুণের (Pune) জুন্নার তালুকের ওয়াদগাঁও আনন্দ গ্রামের বাসিন্দা। দশরথ তাঁর বাড়ির কাছে একটি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এমন ঘটনা ঘটেই থাকে। তবে এমন বিস্ফোরক সুইসাইড নোট সচরাচর দেখা যায় না।

[আরও পড়ুন: সারমেয়কে বেঁধে দ্রুত গতিতে ছুটল গাড়ি, গ্রেপ্তার গাড়িচালক]

পুলিশের বক্তব্য, দশরথ তাঁর মৃত্যুর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দায়ী করেছেন। এই বিষয়ে সুইসাইড নোটে বিস্তারিত লিখেছেন তিনি। জানিয়েছেন নিজের দুর্দশার কাহিনি। ফসলের ন্যূনতম মূল্য নিয়ে অসন্তোষের কথা ও ঋণ আদায়কর্মীর কীভাবে হেনস্তা করেছে, সে কথাও জানান তিনি। একসঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে নিজের করুণ অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন দশরথ।

কোভিড (Covid) মহামারী ও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। তারপরেও কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি কোনওরকম ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেছেন দশরথ। তিনি সুইসাইড নোটে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবি করেছেন। দশরথ লেখেন, “আমাদের কাছে অর্থ নেই। এদিকে মহাজন অপেক্ষা করত রাজি নয়। কী করব আমরা? পেঁয়াজ বাজারে নেওয়ার সামর্থ্য নেই।” এরপরেই দশরথ লক্ষ্মণ কেদারি সরাসরি লেখেন, “আপনি শুধু নিজের কথাই ভাবছেন মোদি সাহেব। আপনাকে অবশ্যই ফসলের ন্যূনতম মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। আপনি দেশের কৃষি ব্যবস্থকে দিশা দেখাতে ব্যর্থ। কৃষকরা কী করবেন?”

[আরও পড়ুন: নজরে চিন-পাকিস্তান, যুদ্ধে বাজিমাত করতে ‘প্রোজেক্ট চিতা’ শুরু করছে ভারতীয় ফৌজ]

দশরথ আরও জানান, তাঁদের মতো কৃষকদের “ঋণ আদায়কারী সংস্থার কর্মীরা হুমকি দিচ্ছে, সমবায় সংস্থার কর্তারা হেনস্তা করছে। বিচার পেতে কার কাছে যাব? আজকে আপনার নিষ্ক্রিয়তার জন্য আমি আত্মহত্যা করছি। দয়া করে ফসলের ন্যূনতম মূল্যের ব্যবস্থা করুন। এটা আমাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement