সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র দু’মাস আগে নতুন স্কুলে বদলি হয়ে এসেছিলেন। ইচ্ছা ছিল, স্কুল চত্বর পরিষ্কার করে নতুনভাবে ছাত্রদের নিয়ে পড়াশোনা শুরু করবেন। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হল না। স্কুলের মধ্যেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন নতুন শিক্ষক। পুণের (Pune) এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন তিনি। আদর্শ শিক্ষক হিসাবে পুরস্কৃতও হয়েছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, হোলে বস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন অরবিন্দ দেবকর। মাত্র দু’মাস আগেই এই বিদ্যালয়ে বদলি করা হয় তাঁকে। দিন কয়েক আগেই স্কুলের পড়ুয়াদের অরবিন্দ জানান, সকলে মিলে বিদ্যালয় চত্বর পরিষ্কার করা হবে। কিন্তু শিক্ষকের এহেন নির্দেশ পছন্দ হয়নি পড়ুয়াদের।
[আরও পড়ুন: বিনা টিকিটে বন্দে ভারতে উঠে সিগারেটে সুখটান, ফায়ার অ্যালার্ম বাজতেই হুলুস্থুল কামরায়]
স্কুল থেকে ফিরে শিক্ষকের নির্দেশের বিষয়টি অভিভাবকের জানায় পড়ুয়ারা। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তাঁরাও। সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন, ওই স্কুল থেকে পড়ুয়াদের ছাড়িয়ে নেওয়া হবে। মোট ১০ জন পড়ুয়া ছিল পুণের প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে। তার মধ্যে ৯ জনই অন্যত্র ভরতি হয়ে যায়। ফলে বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার একেবারে শূন্যে এসে ঠেকে। গোটা ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অরবিন্দ। নিজের স্কুলেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
সুইসাইড নোটে অরবিন্দ লেখেন, পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের মন জয় করতে পারেননি তিনি। তাই নিজেকেই অপরাধী মনে হয়েছে। সেখান থেকেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অরবিন্দ। স্কুল চত্বরে বিষ খাওয়ার পরেই অরবিন্দকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি অরবিন্দকে। গত মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, এই মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করবে জেলার শিক্ষা দপ্তর।