সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে ইডির (ED) হাতে গ্রেপ্তার পাঞ্জাবের (Punjab) এক আপ (AAP) বিধায়ক। এদিনই একটি দলীয় প্রচার থেকে আটক করা হয়েছিল অভিযুক্ত বিধায়ককে। এর ঘণ্টা খানেক বাদে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক তর্জা শুরু হয়েছে। দলীয় বিধায়কের গ্রেপ্তারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি আপের।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত আপ বিধায়ক জসওয়ান্ত সিং গাজ্জান মাজরাকে মোট তিনবার সমান পাঠানো হয়েছিল। যদিও ইডির দপ্তরে হাজিরা দেননি তিনি। এর ফলেই এদিন তৎপর হন এনফোর্সমেন্টে ডিরেক্টোরেটের গোয়েন্দারা। দলের প্রচারসভা থেকে আটক করার এক ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। উল্লেখ্য, ৪১ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তদন্তে নেমে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আপ বিধায়কের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই (CBI)। তখনই উদ্ধার হয়েছিল নগদ ১৬ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা, বিদেশি মুদ্রা এবং ব্যাঙ্কের বেশকিছু সন্দেহজনক নথি।
আরও পড়ুন: বিরাটের সেঞ্চুরির কৃতিত্ব মোদির! সি ভি আনন্দ বোসকে বিঁধে পালটা খোঁচা সাকেত গোখলের]
এদিকে বিধায়কের গ্রেপ্তারিতে মুখ খুলেছে আপ। তাদের দাবি, বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যের আপ মুখপাত্র মালবিন্দ কাং বলেন, “বদনাম করতে গল্প ফাঁদা হচ্ছে। আপে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অস্বাস্তিতে ফেলা হচ্ছিল বিধায়ককে। যেভাবে দলের প্রচারসভা থেকে নেতাকে আটক করা হয়েছে, তা থেকে ওদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট।”
[আরও পড়ুন: খাদ্যদপ্তর বলছে এক, ডিলাররা বলছেন আরেক! ‘হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে’ আমজনতার রেশন]
প্রসঙ্গত, দিল্লি হোক বা পাঞ্জাব, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতায় নাজেহাল আপ। আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia), সঞ্জয় সিং, সত্যেন্দ্র জৈন-সহ বেশ কিছু আপ শীর্ষ নেতা জেলবন্দি।