সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার দেখানো পথেই এবার নাগরিক পরিষেবা দিতে আগ্রহী পাঞ্জাবের (Punjab) নয়া আপ সরকার। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্পের শরণাপন্ন হলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann)। দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তাঁর সরকার। সোমবার এক ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মান ঘোষণা করেছেন, এবার থেকে আর রেশনের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না কাউকে। বাড়িতেই রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে সরকার। গুণমানের কথা মাথায় রেখে গম, ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা হবে।
ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভা ভোটে মাধ্যমে নতুন সরকারকে নির্বাচিত করেছেন পাঞ্জাববাসী। সেসময় আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত মান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে এই দুয়ারে রেশনের কথা বলেছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন, একবার তাঁকে ক্ষমতায় আনলে বাড়ির দোরগোড়ায় রেশন পৌঁছে দেওয়া হয়নি। ব্যাপক সাড়া পড়েছিল তাতে। মানের প্রতিশ্রুতিতে ভরসা রেখে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন পাঞ্জাববাসী। ১১৭ বিধানসভার পাঞ্জাবে ৯২ টি আসনে জিতে সরকার তৈরি করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ (AAP)।
[আরও পড়ুন: লাগাতার হামলার জের, ফের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার]
আর তারপরই নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় উদ্যোগী হলেন মান। সোমবার একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “রেশন নিতে কিংবা রোজকার প্রয়োজনীয় খাবারদাবারের জন্য আর কাউকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এখন থেকে আমাদের সরকারি আধিকারিকরা গিয়ে আপনার সমস্ত নথি পরীক্ষা করে বাড়িতেই তা পৌঁছে দেবে। পাশাপাশি তিনি এই আশ্বাসও দিয়েছেন, খাদ্যদ্রব্যের গুণমান নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সরকার সেসব স্বাস্থ্যবিধি ও গুণমান অক্ষুণ্ণ রেখেই সরবরাহ করা হবে। এ প্রসঙ্গে মান উল্লেখ করেন, দিল্লিতেও এভাবে রেশন সরবরাহ ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা চালানো যায়নি। তবে পাঞ্জাব সরকার নাগরিক পরিষেবায় উন্নতির স্বার্থে এই প্রকল্প চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।
[আরও পড়ুন: ‘কট্টর বিজেপিদের চমকাতে হবে, বুথে যেতে দেওয়া যাবে না’, TMC বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক]
প্রসঙ্গত, দুয়ারে রেশন প্রকল্পটি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সাল থেকে তিনি রাজ্যজুড়ে রেশন পরিষেবা আরও মসৃণ করতে চালু করেন। পাহাড় এবং জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ির দোরগোড়ায় রেশন পৌঁছনোর মাধ্যমে সর্বপ্রথম শুরু হয় পরিষেবা। পরে তা সর্বত্র চালু হয়েছে। এবার পাঞ্জাবও সেই পরিষেবা পেতে চলেছে।