সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বাংলা আজ যা ভাবে, ভারত ভাবে আগামিকাল।’ বাঙালির মেধা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি দেখে এমনই মন্তব্য করেছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজ সংস্কারক গোপালকৃষ্ণ গোখলে। বর্তমান প্রেক্ষাপটেও তার পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। ক্ষমতায় এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেন ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) প্রকল্প। বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দিতে, সহজলভ্য করতেই তাঁর এই ভাবনা। পরে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এবার দেশের আরও একটি রাজ্য পাঞ্জাবেও এই প্রকল্প শুরু হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ঘোষণা করেছেন, ‘ভগবন্ত মান সরকার আপকে দ্বার’ প্রকল্প। যেখানে ৪২টি সরকারি পরিষেবা মিলবে। নির্ধারিত নম্বর ১০৭৬ ডায়াল করে নাগরিকরা তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি সুবিধামতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট এবং শংসাপত্রগুলি পেতে পারেন। পাঞ্জাব সরকার গভর্নমেন্ট-টু-সিটিজেন পরিষেবাগুলি আরও দ্রুততর করতে ৭ ডিসেম্বর ডোর-স্টেপ ডেলিভারি (ডিএসডি) উদ্যোগ চালু করেছে। এই পরিষেবাটি ৪২টি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদান করবে। যার মধ্যে থাকছে জন্ম, মৃত্যু, আয়, বাসস্থান, জাতিগত সার্টিফিকেট দেওয়া, পেনশন এবং বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ। এর আগেও ভগবন্ত মান ‘সরকার তোয়ারে দ্বার’ পরিষেবা চালু করেছিলেন। নয়া প্রকল্প আগেরটির সঙ্গেই চলবে।
[আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন: বাতিল মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ]
১০৭৬ নম্বরে ফোন করে নাগরিকরা নিজেদের সুবিধামতো সময়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে পারবেন। একটি কল সেন্টারের মাধ্যমে বিষয়টি পরিচালনা করা হবে। যেভাবে দিল্লির ডোর-স্টেপ ডেলিভারি ব্যবস্থা চলছে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট চূড়ান্ত হলে এসএমএস-এর মাধ্যমে জরুরি নথি ও দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে। এর জন্য খরচ লাগবে ১২০ টাকা। নাগরিকের বাড়ি যাওয়া ও পরিষেবা দেওয়ার জন্য। একই সঙ্গে পরিষেবার জন্য নির্দিষ্ট সরকারি ফি এবং চার্জ সংগ্রহ করা হবে। নির্ধারিত সময়ে ট্যাবলেট নিয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কর্মীরা নথিপূরণ, ফি সংগ্রহ এবং আবেদন ট্র্যাকিংয়ের জন্য রসিদ দিতে বাড়ি বা অফিসে যাবেন। যদিও বাংলায় ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প চলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, বিশেষ শিবির করে। আবেদন মঞ্জুর হলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পাঞ্জাবে নাগরিকদের মোবাইলে ডিজিটালি সই করা কিউআর কোড সম্বলিত সার্টিফিকেট মিলবে। পরে ই-মেল করে পাঠানো হবে হার্ড কপি। নাগরিকরা প্রয়োজনে সেবাকেন্দ্রে গিয়েও পরিষেবা নিতে পারবেন।