সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবারের টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) জার্মানিকে (Germany) ৫-৪ গোলে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছে ভারতীয় পুরুষ হকি দল (India’s Men’s Hockey Team)। অলিম্পিকের হকিতে দীর্ঘ ৪১ বছরের পদকের খরা মিটিয়েছেন মনপ্রীত সিং-রা। এবার সেই কীর্তিকে কুর্নিশ জানিয়ে তাঁদের বিরল সম্মান প্রদান করল পাঞ্জাব (Punjab) সরকার। ভারতীয় হকি দলের তারকাদের নামে এবার দশটি স্কুলের নামকরণ করা হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সম্মতি দিতেই সেই ঘোষণা করলেন পাঞ্জাবের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী বিজয় ইন্দর সিংলা।
পাঞ্জাবের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিটি স্কুলের নামের প্রথমে থাকবে অলিম্পিয়ান শব্দটি। তারপর সংশ্লিষ্ট অলিম্পিয়ানের নাম। যেমন- ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক মনপ্রীত সিংয়ের নামাঙ্কিত হতে চলেছে জলন্ধরের মিঠাপুর গভর্নমেন্ট সিনিয়র সেকন্ডারি স্কুলটি, নতুন নাম হবে অলিম্পিয়ান মনপ্রীত সিং জিএসএস স্কুল, মিঠাপুর। টোকিও অলিম্পিকে ভারতের সহ-অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং সবচেয়ে বেশি ছটি গোল করেছিলেন। তাঁর নামে নামকরণ হচ্ছে অমৃতসরের টিম্মোয়াল জিএসএস স্কুল। জলন্ধরের মিঠাপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির নাম রাখা হচ্ছে মনদীপ সিংয়ের নামে। আট্টারির গভর্নমেন্ট সিনিয়র সেকন্ডারি স্কুলটি শামশের সিংয়ের নামেই পরিচিত হবে। ফরিদকোটের গভর্নমেন্ট মিডল (বেসিক গার্লস) স্কুলের নামকরণ হচ্ছে রুপিন্দর পাল সিংয়ের নামে।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: আতঙ্কের মাঝেই বড় ঘোষণা রশিদ খানদের ক্রিকেট বোর্ডের]
অলিম্পিয়ান হার্দিক সিং ও গুরজন্ত সিংয়ের নামে পরিচিত হবে যথাক্রমে জলন্ধরের খুসরোপুর ও অমৃতসরের খালাইহারার প্রাইমারি স্কুল। গুরদাসপুরের স্কুলের নতুন নাম হচ্ছে অলিম্পিয়ান সিমরনজিৎ সিং গভর্নমেন্ট হাই স্কুল চাহাল কালান। এছাড়া অমৃতসরের বুটালার জিএসএস স্কুলটি অলিম্পিয়ান দিলপ্রীত সিংয়ের নামে রাখা হচ্ছে। কাপুরথালার আরসিএফ জিএসএস স্কুলের নামটি রাখা হচ্ছে রিজার্ভ গোলকিপার কৃষ্ণান বি-র নামে, এই স্কুলটির নতুন নাম হবে অলিম্পিয়ান বি পাঠক জিএসএসএস স্কুল হুসেইনপুর, আরসিএফ, কাপুরথালা।
এখানেই শেষ নয়। সিংলা আবার সরকারের পূর্ত দফতরের দায়িত্বেও রয়েছেন। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট পদকজয়ীদের বাড়ি বা গ্রামে যাওয়ার রাস্তার নামগুলিও অলিম্পিক পদকজয়ীদের নামে রাখা হবে। ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে পাঞ্জাবের অবদানের কথা উল্লেখ করে সিংলা আরও বলেন, হরিয়ানার পর পাঞ্জাব থেকেই সবচেয়ে বেশি ২০ জন ক্রীড়াবিদ টোকিও অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছিলেন। সরকারের এই পদক্ষেপ অনুপ্রাণিত করবে ছাত্র-যুবদেরও। তাই ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশাবাদী তিনি।