পাঞ্জাব কিংস: ১৯৮/৫ (ধাওয়ান-৭০, মায়াঙ্ক-৫২, থাম্পি-৪৭/২)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৮৬/৯ (ব্রেভিস-৪৯, সূর্যকুমার-৪৩, স্মিথ-৩০/৪)
১২ রানে জয়ী পাঞ্জাব কিংস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ ওভারে প্রয়োজন ২২ রান। ডাগআউটে বসে থাকা ঈশান কিষান যেন বুঝেই গিয়েছিলেন, জয়ের আর কোনও আশা নেই। ব্যাট হাতে ব্যর্থ ঈশান তাই মাথা নিচু করে বসেছিলেন। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা নাকি চলতি আইপিএলে পাঁচটি ম্যাচের একটিতেও জিততে পারল না!
এবারের টুর্নামেন্টে টানা চার ম্যাচ হেরে মঙ্গলবার কোহলিদের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ফর্মে ধরা দিয়েছিল চেন্নাই। ঠিক একই পরিস্থিতিতে বুধ-সন্ধেয় পাঞ্জাবের মুখোমুখি হয়েছিল রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাই পাহাড় প্রমাণ রানের সামনে দাঁড়িয়েও যেন মুম্বই ব্যাটাররা মনে মনে বলছিলেন ‘ঝুকেগা নহি’। কিন্তু হাজার লড়াই করেও দিনের শেষে চেন্নাই হওয়া হল না মুম্বইয়ের। আরও একটা ম্যাচ হেরে লিগ তালিকার লাস্ট বয়ই রয়ে গেলেন রোহিত শর্মারা।
[আরও পড়ুন: সকাল ১১.০৫-এর পর স্কুলে এলেই শিক্ষকদের ‘অনুপস্থিত’ ধরা হবে, রাজ্যে জারি কড়া নির্দেশিকা]
চলতি আইপিএলে মুম্বইয়ের বোলিং বিভাগ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এদিনও থাম্পি, উনাদকাট, অশ্বিনরা বিপক্ষের ব্যাটারদের ত্রাস হয়ে উঠতে ব্যর্থ। জশপ্রীত বুমরাহই যা খানিকটা রান প্রতিরোধ করলেন। শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাঞ্জাব অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল শুরুতেই ঝড় তোলেন। ৯৭ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপেই অনেকখানি এগিয়ে যায় পাঞ্জাব। ৫২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মায়াঙ্ক। আর ৫০ বলে ৭০ রান করে অনন্য রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন ধাওয়ান। ২৭ ইনিংসে ৮৭১ রান করে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রান প্রাপক হয়ে গেলেন তিনি। এর আগে এই নজির ছিল সুরেশ রায়নার। ৩৪টি ইনিংসে ৮২৪ রান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। মিডল অর্ডারে জীতেশ শর্মাও ১৫ বলে ৩০ রানের ভরসা যোগ্য ইনিংস খেলেন।
চ্যাম্পিয়নদের মতোই জবাবটা দিতে শুরু করেছিল মুম্বই। ১০ ওভার শেষ হওয়ার আগেই স্কোরবোর্ডে জ্বলজ্বল করে ওঠে ১০০ রান। ২৮ রানে আউট হলেও ক্যাপ্টেন রোহিতও নয়া রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন। বিরাট কোহলির পর দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১০ হাজার রানের ক্লাবে ঢুকে পড়লেন হিটম্যান। ঈশান কিষান ৩ রানে আউট হওয়ার পর ব্রেভিস (৪৯) এবং তিলক বর্মা (৩৬) দলকে এগিয়ে নিয়ে চলেন। ব্রেভিসের ছক্কা হাঁকানো দেখে তো উচ্ছ্বসিত রোহিত মাঠেই চলে এসেছিলেন। তাঁরা ফিরলে মুম্বইয়ের ভরসা ছিল গেমচেঞ্জার পোলার্ড এবং সূর্যকুমার যাদবের উপর। ২৩ বলে ৪৭ রান বাকি থাকতে রান আউট হন পোলার্ড। তবে তখনও হাল ছাড়েননি সূর্যকুমার। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেন। তবে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই আউট হন। আর শেষ ওভারে তো তিন-তিনটে উইকেট তুলে নিয়ে মুম্বইকে অলআউটই করে দিলেন ওডেন স্মিথ। ৩০ রান দিয়ে মোট চারটে উইকেট পান তিনি। রাবাডা নেন দুটি উইকেট। তিন ম্যাচ জিতে আপাতত ৬ পয়েন্ট প্রীতির পাঞ্জাবের ঝুলিতে।