সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবলীলায় ছুরি দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করলেন প্রৌঢ়। এর পর লুধিয়ানার বাসিন্দা মাকে ভিডিও কলে তরুণীর রক্তাক্ত দেহ দেখালেন কানাডা (Canada) প্রবাসী পঞ্চাশ বছরের জগপ্রীত সিং। ফোন ধরে প্রবাসে থাকা ছেলের কাণ্ড দেখে চমকে যান বৃদ্ধা। যদিও বিন্দুমাত্র উত্তেজনা ছিল না জগপ্রীতের গলায়। বরং নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তিনি জানান, ‘ওকে (স্ত্রী) চিরঘুমে পাঠিয়ে দিয়েছি!’ কেন এই হত্যাকাণ্ড?
কানাডার অ্যাবটসফোর্ড এলাকার একটি বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বছর একচল্লিশের বলবিন্দর কৌরকে। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। তরুণীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী জগপ্রীতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃতার বোন রাজবিন্দর কৌর জগপ্রীতের মাকে ভিডিও কল করার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানান।
[আরও পড়ুন: কথা রাখেনি মোদি সরকার, ২১ দিনের অনশনে ‘র্যাঞ্চো’ ওয়াংচুক]
রাজবিন্দর জানিয়েছেন, জগপ্রীত এবং বলবিন্দরের বিয়ে হয় ২০০০ সালে। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। সন্তানদের মধ্যে বড় মেয়ে হরনুরপ্রীত কৌর । বছর কয়েক আগে পড়াশোনার সূত্রে তিনি কানাডায় যান। ২০২২ সালে বিদেশে অসুস্থ হয়ে পড়েন হরনুরপ্রীত। যার পর মেয়ের দেখভাল করতে কানাডা যান বলবন্দির। অন্যদিকে ছেলেকে নিয়ে লুধিয়ানায় ছিলেন জগপ্রীত। রাজবিন্দরের অভিযোগ, জগপ্রীত কাজকর্ম ছেড়ে দেওয়াতেই সংসারে অশান্তি শুরু হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: যতকাণ্ড যোগীরাজ্যে, সরকারি টাকা হাতাতে দিদির কপালেই সিঁদুর দিলেন ভাই!]
দীর্ঘদিন যাবৎ সংসারের পাশাপাশি স্বামীর সমস্ত খরচ চালাতে হচ্ছিল বলবিন্দরকে। লুধিয়ানায় হাসপাতালে কাজ করতেন, কানাডায় গিয়ে একটি দোকানে কাজ নেন তিনি। বিদেশ থেকেও স্বামীর জন্য টাকা পাঠাতেন। এর পরেও চাহিদা মেটেনি জগপ্রীতের। সপ্তাহ খানেক আগেই কানাডায় গিয়েছিলেন তিনি। ১৫ মার্চ মেয়ে হরনুরপ্রীত বাড়িতে না থাকার সুযোগে স্ত্রী বলবিন্দরকে ছুরি দিয়ে ধারাল কুপিয়ে হত্যা করেন। এমনকী সুদূর লুধিয়ানায় থাকা মাকে ফোন করে সেই হত্যাদৃশ্য দেখান। প্রশ্ন উঠছে, জগপ্রীত কি মানসিকভাবে অসুস্থ?