সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রতিক বন্যায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে চাষের। ক্ষতিপূরণে আর্থিক প্যাকেজ, এমএসপি এবং ঋণের আইনি গ্যারান্টি-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার রেল অবরোধ শুরু করল পাঞ্জাবের কৃষকরা (Punjab Farmer’s)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তিন দিন ধরে এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন কৃষক সংগঠনের নেতারা। এদিন রাজ্যের বারোটি জায়গায় রেল লাইনে বসে পড়েন চাষিরা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এর জেরে বৃহস্পতিবার ৫১টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। এছাড়াও শুক্রবার স্থগিত হয়েছে ২৯টি ট্রেন।
চলতি আন্দোলনে সমবেত দাবি জানিয়েছেন, কিষাণ মজদুর সংগ্রাম কমিটি, ভারতী কিষান ইউনিয়ন (ক্রান্তিকারি), বিকেইউ (একতা আজাদ), আজাদ কিষাণ কমিটি দোয়াবা, বিকেইউ (বেহরামকে), বিকেইউ (শহিদ ভগৎ সিং) এবং বিকেইউ (ছোট্টু রাম) সহ বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন। উত্তর ভারতের ছটি রাজ্যের ১৯টি সংগঠন আন্দোলনে নেমেছে। কৃষক নেতা গুরবচন সিং দাবি করেছেন, কৃষকরা স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্টের সুপারিশ অনুসারে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির জন্য ৫০,০০০ কোটি টাকার বন্যা ত্রাণ প্যাকেজ এবং এমএসপি দাবি করছে। এছাড়াও ফসলের ন্যূনতম মূল্যের আইনি গ্যারান্টি এবং কৃষকদের ঋণ মকুবের দাবি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধিতে কারও ধর্মে আঘাত নয়, আশ্বাস আইন কমিশনের]
এদিন কৃষকরা রেল অবরোধ করে গুরুদাসপুরের মোগা, হোশিয়ারপুর, বাটালা রেলওয়ে স্টেশন, জলন্ধর ক্যান্টনমেন্টে, তারান রেলওয়ে স্টেশন, সাঙ্গুরের সুনাম, পাতিয়ালার নাভা। ফিরোজপুরের ট্যাঙ্কওয়ালি এবং মল্লানওয়ালা, ভাটিণ্ডার রামপুরা এবং অমৃতসরের দেবীদাসপুরায়। হরিয়ানা, রাজস্থান এবং হিমাচল প্রদেশের কৃষকরাও পাঞ্জাবের দিকে যাত্রা শুরু করছে। তাঁরাও আন্দোলনে যোগ দিতে চলেছেন।
[আরও পড়ুন: মোদি ফ্যাক্টর নয়! রুখতে হবে RSS-কে, নয়া কৌশল শুরু INDIA জোটের]
হরিয়ানার কিষান মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি সুরেশ কোথ বলেন, “২২ আগস্টে চণ্ডিগড়ে বিক্ষোভ শুরু করার কথা ছিল আমাদের। কিন্তু তার অনেক আগেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানার ৪০০-র বেশি কৃষক নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর ফলেই চণ্ডিগড়ে পৌঁছে আন্দোলন শুরু করা যায়নি। এমনকী পাঞ্জাবের সাঙ্গুরুর জেলায় আন্দোলন যোগ দিতে যাওয়ার সময় ট্রাক্টরের চাকার নিচে পিষে মৃত্যু হয় প্রীতম সিং নামের এক কৃষকের।”