ধীমান রায়, কাটোয়া: ‘বাংলা আবাস যোজনা’ প্রকল্পে রাজ্যবাসীর মাথার উপর ছাদ তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। এমন রাজ্যে পাখিরা কেন বেঘর হবে? কেন তাদের ঘর থাকবে না? তাই এবার পক্ষীকূলের জন্য ‘ফ্ল্যাট’ বানিয়ে দিচ্ছে রাজ্য প্রশাসনই। এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার প্রশাসন। পাখিদের জন্য ফ্ল্যাট, ব্যাপারটা কী?
পক্ষীকূলের জন্য ‘ফ্ল্যাট’ তৈরি করে দিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ১ ব্লক প্রশাসন। পাখিদের বসবাসের জন্য হাতে তৈরি বাসা গাছে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আউশগ্রামে। আর পরিকল্পনার নেপথ্যে রয়েছেন আউশগ্রাম ১ বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। তিনি এদিন জানান ইতিমধ্যে ১৫০টি বাসা তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। বনদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি অফিস চত্বরের মধ্যে গাছে-গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। এরপর আরও বেশকিছু বাসা তৈরি করা হবে।
[আরও পড়ুন: TET দুর্নীতিতেও জড়িত পার্থ? ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার নথি ঘিরে জল্পনা, মিলল অর্পিতার নামে দলিলও]
অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “আউশগ্রাম-১ ব্লক বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে ৯৮ শতাংশ সাফল্য পেয়েছে। অল্পদিনেই ৯৯ শতাংশ সফলতা অর্জন করতে চলেছে। যেখানে মানুষের জন্য বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে বাসস্থানের কথা ভাবা হচ্ছে সেখানে পাখিদের জন্যও বাংলা আবাস যোজনার মতন সরকারি উদ্যোগে কিছু করা প্রয়োজন। তাই এই উদ্যোগ।” অরিন্দমবাবু আরও জানান, আউশগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির নিজস্ব তহবিল থেকে এই খরচ করা হচ্ছে। গুসকরা শহরে আউশগ্রাম ১ ব্রক অফিস চত্বর, গুসকরা পুলিশ ফাঁড়ি ও বিভিন্ন সরকারি অফিস চত্বরে যেসব গাছগুলি রয়েছে সেইসব গাছে গাছে এই বাসাগুলি ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্যই এই উদ্যোগ।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ‘জঙ্গলমহল’ বলে পরিচিত আউশগ্রাম। আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত বেশকিছু গ্রাম রয়েছে। এই এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মানুষরা হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এখানকার যাদবগঞ্জ গ্রামে এই ধরনের বেশকিছু হস্তশিল্পী পরিবারের বসবাস। জানা গিয়েছে, ওই হস্তশিল্পীদের মাধ্যমে বাঁশের ছিলা দিয়ে বোনা শ’দেড়েক পাখির বাসা তৈরি করা হয়েছে। আরও বেশকিছু বাসা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। এগুলি শীঘ্রই গাছে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে বলে বিডিও জানিয়েছেন।