কৃষ্ণকুমার দাস: টানা ২৪ ঘণ্টা যদি জগন্নাথদেব অভুক্ত থাকেন তবে পরবর্তী ১৪ বছর আর দেবতাকে অন্ন ভোগ দেওয়া যাবে না। বস্তুত, এই কারণে ওড়িশা সরকারের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার রাতেই বিবাদমান পালাদার ও সেবায়েতদের শান্ত করে দেবতার পুজো ও ভোগারতির ব্যবস্থা হয়। রাত ১২টা বেজে গেলে চরম অনাচার হত। তাই ১২টার আগেই মন্দিরের বুধবারের পালাদার বনমালি খুন্তিয়াকে দিয়ে মহাপ্রভুর খিচুড়ি ভোগ নিবেদন করানো হয়। অবশ্য তার আগে রাত ১০টা নাগাদ মহাস্নানও হয় দেবতাদের। কারণ, সারাদিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাদের শুধু ভোগান্ন দেওয়া হয়নি, শয়ন-স্নান-সহ সমস্ত উপাচারই বন্ধ ছিল পুরীর মন্দিরে। জেলাশাসক তথা পুরীর মন্দিরের প্রশাসক প্রদীপ জেনা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মহাপ্রভুর এই বিশেষ ভোগারতির ব্যবস্থা করেন। সারাদিন অভুক্ত থাকা জগন্নাথদেবের ভোগ নিবেদনের পর প্রসাদ পাওয়ার আশায় ওই রাতেও মন্দির চত্বরে হাজির ছিলেন লক্ষাধিক পুণ্যার্থী।
[সোমবার দুপুর থেকে অভুক্ত জগন্নাথ, মাটিতে মিশল কয়েক টন মহাপ্রসাদ]
বুধবার ভোর হতেই অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছিল পুরীর মন্দিরে। নিয়ম মেনে এদিন ‘সকালের ধুপ’ নামের বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয়েছে দেবতাকে। আজ সন্ধ্যায় চন্দনযাত্রার শুভ মুহূর্ত শুরু হবে। তার আগে মহাপ্রভু জগন্নাথ শয়নে যাওয়ার আগে তিনজন ব্রাহ্মণ তাঁর কাছে ‘আজ্ঞা’ চাইতে যাবেন। তাঁরা অনুমতি পেলে তবেই রথযাত্রা উৎসবের জন্য দেবতাদের তিনটি রথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে এদিন থেকেই শুরু হবে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসবেরও মাঙ্গলিক কর্মসূচি।
The post মধ্য রাতে খিচুড়ি ভোগ খেলেন পুরীর জগন্নাথ appeared first on Sangbad Pratidin.