সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডানার আতঙ্কে বন্ধ করা হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। সেই সঙ্গে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হল কোনারকের মন্দির-সহ ওড়িশার অধিকাংশ দর্শনীয় স্থান। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত কোনও পর্যটক যেতে পারবেন না এই জায়গাগুলোতে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা পার্ক এবং ধামরা বন্দরের মধ্যে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ডানা।
ডানার মোকাবিলায় সমস্তরকমভাবে প্রস্তুত থাকতে চাইছে ওড়িশার প্রশাসন। যেসমস্ত এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখান থেকে সমস্ত মানুষকে সরিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলো থেকে অন্তত ১০ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। গড়ে তোলা হয়েছে প্রচুর অস্থায়ী রিলিফ ক্যাম্প। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ওড়িশার ১৪টি জেলা লন্ডভন্ড হতে পারে ডানার দাপটে। ১১০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে ওই এলাকাগুলোতে। এহেন পরিস্থিতিতে ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পূজারী আবেদন করেন, ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর যেন কেউ পুরীতে না আসেন।
তবে বুধবার আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর বন্ধ থাকবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং কোনারকের সূর্য মন্দির। এছাড়াও ওড়িশার সমস্ত মনুমেন্ট, মন্দির এবং মিউজিয়াম বন্ধ রাখা হবে। সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ এবং ভিতরকণিকা ন্যাশনাল পার্কও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওড়িশার সরকার। এছাড়াও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সমস্ত স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সমস্ত সরকারি কর্মীর ছুটি বাতিল করেছে প্রশাসন। কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন বুধবার থেকে শুক্রবার নিজেদের হেড কোয়ার্টারে হাজির থাকেন।
ডানার মোকাবিলার পরিকল্পনা করতে সোমবারই উপকূলবর্তী জেলারগুলোর প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১১টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। তৈরি আছে সেনা, নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষা বাহিনীও। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্তত ১৫০টি ট্রেন বাতিল হয়েছে ডানার আতঙ্কে। বুধবার ওড়িশা সফরে যাওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। সেই সফরও বাতিল করা হয়েছে।