সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ঠিকাদারি করে ‘নেতাগিরি’ চলবে না। পুরুলিয়ার (Purulia) মানবাজার বিধানসভার কর্মী সম্মেলনে দলের নেতা-কর্মীদেরকে এমনই কড়া বার্তা দিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ বললেন, “এখানে আমাদের দলের কয়েকজন ঠিকাদারি করে ‘নেতাগিরি’ করছেন। তা আর চলবে না। আপনারা সাধারণ কর্মী হয়ে কাজ করুন, স্বাগত। কিন্তু আপনাদের কোনও পদে রাখব না।” এদিনের সম্মেলন থেকেই কর্মীদের জনসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন গুরুপদ টুডু। একজোট হয়ে লড়ার বার্তা দিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগের রাষ্ট্র মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু।
আসলে মানবাজার বিধানসভার বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা এখন ‘ঠিকাদার’ হয়ে গিয়েছেন। দলের কাজ করতে করতেই তাঁরা সরকারি কাজের বরাত পেয়ে যান। এই বিষয়টি যে আমজনতা ভালভাবে নিচ্ছেন না, তা দেরিতে হলেও উপলব্ধি করেছে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল। তাই দলের জেলা নেতৃত্বের এমন কড়া সিদ্ধান্ত। সেই কারণে ব্লক সভাপতি থেকে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গড়ার ক্ষেত্রেও দল এই বিষয়টিকে মাথায় রাখে। এবার ব্লক ও অঞ্চল কমিটি গঠনেও সেই একই পথে হাঁটছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, “মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে জন সংযোগ বাড়ান। ঘরের দাওয়ায় বসে মানুষজনের কী সমস্যা তা জেনে সমাধান করুন। সরকারি প্রকল্পের সুযোগ–সুবিধাগুলো তুলে ধরুন। যাতে দ্রুত সমস্যা মেটানো যায় তার ব্যবস্থা করুন।”
[আরও পড়ুন: স্পেশ্যাল ট্রেনে ওঠার দাবি, বিক্ষোভ-অবরোধে রণক্ষেত্র হুগলির একের পর এক স্টেশন]
একদিকে বেনিয়ম রুখে মানুষজনের পাশে দাঁড়ানো। অন্যদিকে একজোট হওয়ার বার্তা। বিধানসভা ভোটে মানুষের মন পেতে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের দাওয়াই এগুলিই। তাই এদিনের সভা থেকে মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু বলেন, “আমরা যদি একজোট হয়ে থাকতে পারি। তাহলে এই মানবাজার বিধানসভায় এমন কোনও শক্তি নেই যাঁরা আমাদের শক্ত ঘাঁটি নড়িয়ে দিতে পারবেন।”
ছবি: অমিত সিং দেও।