সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: দেশের পাঁচটি বৃহৎ শিল্প সংস্থা রঘুনাথপুরের জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরীতে শিল্পস্থাপন করবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। শনিবার পুরুলিয়ার শিল্পতালুক রঘুনাথপুরে একটি ইস্পাত কারখানার উদ্বোধন করে এ কথা জানান রাজ্যের শিল্প, বাণিজ্য মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন ইস্পাত শিল্পে রাজ্যে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ এসেছে। রুখাশুখা পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি ব্লকের পড়াডিহা গ্রামে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি রুগ্ন ইস্পাত কারখানাকে শাকম্ভরী গ্রুপ অধিগ্রহণ করে নবরূপে এসপিএস স্টিলস রোলিং মিলস লিমিটেড(ইউনিট টু) নামে পথ চলা শুরু করল। এই নতুন ইস্পাত শিল্পে আপাতত ২০০ থেকে ৩০০ জনের কর্মসংস্থান হবে। ধাপে ধাপে সেই কর্মসংস্থান ৯০০ থেকে ১০০০ জনে পৌঁছাবে। এদিন এই নয়া সুসংহত ইস্পাত শিল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় রাজ্যের শিল্প, বাণিজ্য মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) হাত ধরে। অনুষ্ঠানে ছিলেন শ্রম দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী বেচারাম মান্না (Becharam Manna), পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া।
[আরও পড়ুন: মিটছে বিরোধ, মতুয়া ধর্মমেলার আয়োজনে শান্তনু ও মমতাবালা, ভক্তদের বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী]
এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডুর আমন্ত্রণ না থাকায় বিতর্ক তৈরি হয়। শিল্প, বাণিজ্য মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রুগ্ন শিল্প কেউ কিনতে চায় না। শাকম্ভরী-সহ দেশের পাঁচটি বৃহৎ শিল্প সংস্থা রঘুনাথপুরের জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরীতে শিল্প স্থাপন করবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ওই শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। শিল্প স্থাপনে আমাদের লক্ষ্য একটাই কর্মদিবস নষ্ট নয়। কর্মসৃষ্টি।”
[আরও পড়ুন: প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বছরের পর বছর ‘ধর্ষণ’, বাবার বিকৃত যৌন লালসার শিকার নাবালিকা]
শাকম্বরী গ্রুপ নামে এই শিল্প সংস্থা এখনও পর্যন্ত পাঁচটি কারখানা অধিগ্রহণ করেছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া এই রুগ্ন সংস্থার নাম ছিল বিকাশ মেটাল এন্ড পাওয়ার লিমিটেড। ২০২১ সালের ২৯ শে অক্টোবর রুগ্ন শিল্পকে অধিগ্রহণ করে শাকম্ভরী গ্রুপ। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে এই কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর মাত্র ১৫০ দিনের মধ্যে বর্তমানে এই সুসংহত ইস্পাত শিল্পে ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, ফেরো এলোয়স প্ল্যান্ট, স্পঞ্জ আয়রন ক্লিনস, স্টিল মেলটিং প্ল্যান্ট এন্ড রোলিং মিল গড়ে তোলা হয়। এই সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপককুমার আগরওয়াল বলেন, “বাংলায় শিল্প স্থাপনে সমস্ত ধরনের পরিকাঠামো রয়েছেl এখন আর ইনকিলাব জিন্দাবাদ, ধর্মঘট হয় না। তাই আমাদের মত শিল্পোদ্যোগীরা বাংলাতেই শিল্প স্থাপন করতে চাইছেন।”