সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা (Attempt to suicide) যুবকের। পুরুলিয়ার কাশীপুর ব্লকের মণিহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙাডি গ্রামের ঘটনা। খুন এবং বিষপানের পর নিজেই পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানায় ওই যুবক। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্ত্রী এবং দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার করে। ওই যুবককে কল্লোলি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়। কী কারণে যুবক ওই কাণ্ড ঘটাল, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গৌতম মাহাত নামে ওই যুবক পুরুলিয়ার (Purulia) কাশীপুর ব্লকের মণিহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙাডি গ্রামের বাসিন্দা। রেলের ঠিকাদারের মুন্সি হিসাবে কাজ করত সে। আয় খুব বেশি ছিল না। বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় গৌতমের। তার স্ত্রীর নাম মমতা। বছর ছয়েকের একটি ছেলে এবং সাড়ে তিন বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে গৌতম ও মমতার।
[আরও পড়ুন: প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বছরের পর বছর ‘ধর্ষণ’, বাবার বিকৃত যৌন লালসার শিকার নাবালিকা]
রবিবার ভোরে আর পাঁচজনের মতো গৌতমের স্ত্রী এবং দুই সন্তান ঘুমোচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় গৌতম ওই তিনজনকে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথারি কোপায়। এরপর নিজেই কাশীপুর থানার পুলিশকে ফোন করে। জানায়, নিজের স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়েছে সে। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতবাক হয়ে যায়। পুলিশ দেখে ঘরের ভিতরেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন গৌতমের স্ত্রী এবং দুই খুদে সন্তান। ততক্ষণে প্রাণ গিয়েছে তাঁদের। ওই তিনজনের দেহ থেকে কিছুটা দূরে পড়ে রয়েছে গৌতম। তাঁর মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরচ্ছে।
তড়িঘড়ি পুলিশ গৌতমকে উদ্ধার করে কাশীপুরের কল্লোলি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন গৌতম। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। প্রয়োজনে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হতে পারে গৌতমকে। নিহতদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে গৌতম এই কাণ্ড ঘটাল, তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলেই জানান পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান। তিনজনকে খুনের পর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।