shono
Advertisement

Breaking News

আধিপত্য বজায় রাখতেই তাইওয়ানে সংঘাত উসকে দিচ্ছে আমেরিকা, তোপ পুতিনের

মার্কিন হস্তক্ষেপের জন্যই ইউক্রেনে যুদ্ধ থামছে না, তোপ পুতিনের।
Posted: 01:49 PM Aug 17, 2022Updated: 01:49 PM Aug 17, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধিপত্য বজায় রাখতেই তাইওয়ানে সংঘাত উসকে দিচ্ছে আমেরিকা। এবার এমনটাই তোপ দাগলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, মার্কিন হস্তক্ষেপের জন্যই ইউক্রেন যুদ্ধ থামছে না। আর বিশ্বে নিজের দাপট বজায় রাখতেই এই চাল দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

Advertisement

মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে মঙ্গলবার পুতিন বলেন, আধিপত্য বজায় রাখতেই তাইওয়ানে (Taiwan) সংঘাত উসকে দিচ্ছে আমেরিকা। তাঁর কথায়, “তাইওয়ান আমেরিকার সাম্প্রতিক অ্যাডভেঞ্চার কোনও দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতিবিদের সফর মাত্র নয়। এটা আমেরিকার সুচিন্তিত ও পরিকল্পিত নকশার অংশবিশেষ। এভাবেই আঞ্চলিক স্থিতাবস্তা নষ্ট করে বিশ্বে আধিপত্য বজায় রাখতে রাখতে চাইছে আমেরিকা। এটা অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি চূড়ান্ত অসম্মানের প্রদর্শন। পশ্চিমের অভিজাতরা নিজেদের ব্যর্থতার দায় রাশিয়া ও চিনের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে।”

[আরও পড়ুন: ‘কোনও দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না’, ‘নজরদারি’ জাহাজ নিয়ে ভারতকে বার্তা চিনের]

মঙ্গলবার মস্কোয় একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পুতিন (Vladimir Putin) । ওই সম্মেলেনে উপস্থিত ছিলেন আফ্রিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ সেনা আধিকারিকরা। ওই সম্মেলনে আমেরিকাকে একহাত নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “বিশ্বে আধিপত্য বজায় রাখতে ওদের (আমেরিকা) প্রয়োজন সংঘাত। তাই ওরা ইউক্রেনের মানুষকে বলির পাঁঠা করছে। ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা স্পষ্ট যে ওই লড়াই দীর্ঘায়িত করতে চাইছে আমেরিকা। আর একইভাবে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকাতেও সংঘাত জিইয়ে রাখতে চাইছে তারা।”

উল্লেখ্য, চিনের প্রবল আপত্তি উড়িয়ে গত জুলাই মাসে তাইওয়ানে যান মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তারপরই তাইওয়ান (Taiwan) ভূখণ্ডকে নিজেদের অখণ্ড অংশ বলে মনে করে চিন। বারবার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে ওই ভূখণ্ড অধিকার করার কথা বলেছেন চিনা নেতারা। সেই কারণেই ন্যান্সি পেলোসির সফরের ফল ভুগতে হবে বলে তাইওয়ানকে হুমকি দিয়েছিল বেজিং। পেলোসি বিদায় নেওয়ার পরেই তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করে চিন। এমনকি জাপানের সমুদ্রেও আছড়ে পড়ে চিনা মিসাইল। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত উত্তপ্ত ওই অঞ্চল।

[আরও পড়ুন: বাড়ছে আমেরিকা-রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা, মৃত্যু হবে ৫০ কোটি মানুষের! দাবি গবেষণায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement