সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর উচ্চপদস্থ প্রাক্তন কমান্ডারদের সঙ্গে দেখা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেন যেভাবে রুশ সামরিক বাহিনীকে আক্রমণ শানাচ্ছে তা ঠেকাতে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে চাইছে মস্কো। ওয়াগনার বাহিনীর রাশ সম্পূর্ণভাবে নিজেদের হাতে নিয়ে রণক্ষেত্রে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে ক্রেমলিন বলে মত বিশ্লেষকদের।
ক্রেমলিন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার প্রাক্তন ওয়াগনার কমান্ডার আন্দ্রেই ট্রোশেভের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন রাশিয়ার (Russia) ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার ইউনাস-বেক ইয়েভকুরভ। যিনি গত কয়েকমাসে বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন যেখানে এই ওয়াগনার বাহিনী কাজ করছে। বৈঠকের পর পুতিন বলেন, “ওয়াগনারের সেচ্ছাসেবী দলকে কীভাবে বিভিন্ন সামরিক কাজ, বিশেষ সামরিক অভিযানে ব্যবহার করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।” ওয়াগনার কমান্ডরকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “এইসব ক্ষেত্রে আপনারা এক বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করছেন। আপনারা জানেন কখন, কোথায়, কীভাবে লড়তে হবে। কোন পথে সাফল্য আসবে তাও আপনাদের খুব ভালো করে জানা।” একই সঙ্গে পুতিন চান যাঁরা যুদ্ধের ময়দানে লড়ছেন তাঁদের সামাজিক সাহায্য করতে। এখানেই একাংশ মনে করছেন, পাকাপাকিভাবে এবার কুখ্যাত ওয়াগনার বাহিনীর রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নিতে চায় মস্কো।
[আরও পড়ুন: বৈঠকে ব্লিঙ্কেন-জয়শংকর, উঠলই না কানাডা প্রসঙ্গ!]
বলে রাখা ভালো, ইউক্রেন যুদ্ধে ক্রাইমিয়া, বাখমুটে (Bakhmut) মোতায়েন করা হয়েছিল নিহত ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের নেতৃত্বাধীন ওয়াগনার বাহিনীকে। এই বাখমুটের ময়দান থেকেই সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করেছিল রুশ সেনা ও ওয়াগনারের মধ্যে। সংঘাত এতটাই চরমে ওঠে যে রুশ সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে গোটা দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন প্রিগোজিন। গৃহযুদ্ধের আশঙ্কায় কেঁপে উঠেছিল মস্কোর ভিত।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসেই বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ‘বিদ্রোহী’ নেতা প্রিগোজিন। যার ফলে এই মুহূর্তে কুখ্যাত ওয়াগনারের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে রয়েছে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। অন্যদিকে, ইউক্রেন যেভাবে প্রতিনিয়ত রাশিয়াকে পালটা দিচ্ছে তা চিন্তা বাড়াচ্ছে পুতিনবাহিনীর। ফলে ওয়াগনারকে দিয়ে রণক্ষেত্রে নিজেদের মাটি শক্ত করার চেষ্টা করছেন পুতিন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল।