সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক হাজারতম দিনে পরমাণবিক নীতিতে বিরাট বদল পুতিনের। শুধু পারণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশের পাশাপাশি পরমাণু শক্তিধর নয় এমন দেশেও হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া। পুতিনের এই নয়া নীতি আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠলেও, ইউক্রেন প্রসঙ্গে মার্কিন নীতির জবাব দিতেই এই পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে।
আসলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চললেও মেঘনাদের মতো এই যুদ্ধে জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকায়। রাশিয়ায় হামলা চালাতে ইউক্রেনকে অস্ত্রের যোগান দিয়ে চলেছেন জো বাইডেন। এমনকি রাষ্ট্রপতি পদ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে রাশিয়াকে ধরাশায়ী করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন বাইডেন। ইউক্রেনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের। আমেরিকার এই পদক্ষেপের পালটা এবার বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাশিয়ার তরফে। পরমাণু অস্ত্রের নিয়মে বদল এনে রাশিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদি আমেরিকার তৈরি কোনও ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার মাটিতে এসে পড়ে সেক্ষেত্রে হিরোশিমা-নাগাসাকির মতো প্রলয় দেখবে গোটা বিশ্ব।
যে নয়া পরমাণু নীতিতে শিলমোহর দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন সেখানে বলা হয়েছে, যদি কোনও পরমাণু শক্তিধর দেশের সাহায্যে রাশিয়ার মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, সেক্ষেত্রে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া। এক্ষেত্রে দেশটি পরমাণু শক্তিধর না হলেও হামলা চালাতে পিছুপা হবে না ক্রেমলিন। এই নীতি সম্প্রতি পাশ হলেও এর প্রক্রিয়া অনেকদিন আগে থেকেই শুরু করেছিল রাশিয়া। ইউক্রেনকে আমেরিকার তরফে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পরই এই নীতিতে সাক্ষর করলেন পুতিন।
নয়া নীতিতে ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ড্রোন ও অন্যান্য এয়ারক্র্যাফটকেও সামিল করা হয়েছে। পরমাণু নীতি এমনভাবে করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, ন্যাটো সদস্যভুক্ত কোনও দেশ যদি এই ধরনের হামলা চালায় তাহলে রাশিয়া এই হামলাকে ন্যাটোর হামলা হিসেবে দেখবে। অর্থাৎ মার্কিন অস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার হলে তার জন্য ন্যাটোর জোটকে দায়ী করবে রাশিয়া।