সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাতার যখন ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল, তখন সেপ ব্লাটারই ছিলেন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফার প্রেসিডেন্ট। অথচ কাতার বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগে ব্লাটারই (Sepp Blatter) বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন। তিনি মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়াটা বড় ভুল ছিল। বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পরই নানা বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। দুর্নীতি তো বটেই, তার সঙ্গে ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও।
ব্লাটার ১৭ বছর ধরে ফিফার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁরদায়িত্বকালে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছিল। ব্লাটার বলেছেন, ‘‘কাতার (Qatar) খুবই ছোট দেশ। ফুটবল এবং বিশ্বকাপ ওদের তুলনায় অনেকটাই বৃহৎ ব্যাপার। কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজক হিসাবে বেছে নেওয়াটা একটা বড় ভুল।’’ ব্লাটার আরও জানিয়েছেন যে, সেই সময় ফিফার প্রেসিডেন্ট পদে তিনিই ছিলেন। ফলে যাবতীয় দায় তাঁরই।
[আরও পড়ুন: আজ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে বাবরের আতসবাজির অপেক্ষায় পাকিস্তান]
উল্লেখ্য, ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার দৌড়ে কাতার এবং আমেরিকা ছিল। শেষপর্যন্ত ভোটাভুটিতে কাতার ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায়। কাতারের বিশ্বকাপ পাওয়ার পিছনে ফ্রান্সের কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনিরও বড় ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছেন ব্লাটার। প্লাতিনি সেই সময় উয়েফার সভাপতি ছিলেন। ব্লাটার বলেছেন, ‘‘সত্যিই কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজক হিসাবে বেছে নেওয়াটা ভুল। প্লাতিনি এবং তাঁর দলের হাতে চারটি ভোট ছিল। এবং সেই ভোটের জোরে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায়।’’
ব্লাটারের ক্ষমা চাওয়ার দিনই ফের বিতর্কে জড়াল কাতার বিশ্বকাপ। বিতর্কের কেন্দ্রে এবার-সমকামিতা। যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন কাতার বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসাডর খালিদ সলমন। জার্মানির একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সমকামিতা মানসিক বিকৃতি। রক্ষণশীল দেশ কাতারে সমকামিতা অবৈধ। ফলে বহু আগে থেকেই বিভিন্ন সংগঠন সমকামীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। জার্মানির টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে সলমন জানিয়েছেন, ‘‘যাঁরা বিশ্বকাপের সময় আসবেন, তাঁদের আমাদের দেশের আইনকে মেনে চলতে হবে। সমকামিতা মানসিক অসুখ। মনের ক্ষতি করে।’’ দোহায় এই সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হচ্ছিল। সলমনের একজন সহকারি এর পরই সাক্ষাৎকার পর্ব বন্ধ করে দেন। পরে এই বিষয়ে আয়োজক কমিটির কাছে প্রশ্ন করা হলে, তারা কিছু জানায়নি বলে দাবি সংবাদসংস্থার। ফিফাও এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি।