সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ হয়েছিল আগেই। এবার মিলল মুক্তি। আটজনের মধ্যে দেশে ফিরলেন ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন সাত আধিকারিক। এই মুক্তি যে ভারতের বড়সড় কূটনৈতিক জয় সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দেশের মাটিতে পা রেখে আবেগে ভাসলেন প্রাক্তন নৌসেনা কর্তারা। তাঁরা বললেন, “ভারত মাতা কি জয়।” দেশে ফিরে আসতে পারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারত সরকারকে ধন্যবাদও জানান তাঁরা।
২০২২ সালের আগস্ট মাসে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন ৮ কর্মী গ্রেপ্তার করে কাতারের গোয়েন্দা বিভাগ। ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বর্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুণাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা এবং নাবিক রাজেশ। তাঁরা সকলেই একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। ওই সংস্থা কাতার সেনাকে প্রশিক্ষণের কাজ করত। একাধিকবার শুনানির পরে অক্টোবর মাসে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় কাতারের আদালত।
নৌসেনা কর্মীদের হয়ে আইনি পদক্ষেপ করতে শুরু করে ভারত। ভারতীয় প্রতিনিধিরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান। তার আগেই দুবাইয়ের জলবায়ু সম্মেলনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদের সঙ্গে কথা হয় মোদির। প্রবাসী ভারতীয়দের উন্নতি নিয়েও আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে। অবশেষে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে ওই প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীদের ফাঁসির সাজা রদ করে আদালত। তাঁদের সাজা বদলে কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: পুরনোতেই আস্থা, রাজ্যসভায় বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য]
তবে সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘‘কাতারের সংস্থায় কর্মরত আট প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। তাঁদের মধ্যে সাতজন ইতিমধ্যে দেশে ফিরেছেন।’’ দেশে ফিরে আবেগে ভাসছেন প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীরা। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, “আমরা প্রায় দেড় বছর ভারতে ফেরার জন্য অপেক্ষা করেছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁর হস্তক্ষেপ ও কাতারের সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকলে, এটা সম্ভব হত না। অন্তর থেকে আমরা ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
কাতার থেকে দেশে ফেরা আরও এক প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী বলেন, “আমরা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। উনি ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপ করেছিলেন বলেই আমরা আজ দেশে ফিরতে পেরেছি।”