সুকুমার সরকার, ঢাকা: আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ‘বহুরূপী’ করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। ব্রিটেন থেকে ক্রমে ইউরোপের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার এই নয়া স্ট্রেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যন্ত ছোঁয়াছে এই নয়া স্ট্রেনটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এহেন সময়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে লন্ডন থেকে ফিরলেই বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিদান দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করোনা আবহে বাংলাদেশে পুরভোট, কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে ২৪ পুরসভা]
সোমবার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সংক্রমণ রুখতে ব্রিটেন থেকে আগত যাত্রীদের নিভৃতে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “ঢাকার আশকোনার হজ ক্যাম্প ও দিয়াবাড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইননের ব্যবস্থা আছে। এর পাশাপাশি কিছু হোটেলও ঠিক করা থাকবে। সিলেটেও স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা করা হবে।” প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে দকরোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে রীতিমতো সতর্ক সরকার। আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই প্রতিষেধক হাতে চলে আসার কথা থাকলেও তা দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার বব্যবস্থা নিয়ে কিছুট প্রশ্ন থাকছেই।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবস-সহ তুরস্কও আন্তর্জাতিক উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ব্রিটেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সমস্ত উড়ান বাতিল করে দিয়েছে তাঁরা। এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে তুরস্ক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়া আরও বহু দেশ ব্রিটেনের সঙ্গে সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ানও বাতিল করেছে। তালিকায় রয়েছে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ইতালি, আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও ইজরায়েল। আমেরিকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা আপাতত গোটা বিষয়টির দিকে নজর রাখছে। ইতিমধ্যে ব্রিটেনে ভালমতোই থাবা বসিয়েছে নয়া করোনা ভাইরাস। সংক্রমণ রুখতে ক্রিসমাসের আগেই নতুন করে সেদেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে।