সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাহলে কি আর মেক ইন ইন্ডিয়া বলা যাবে না? পালটে দিতে হবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া (Digital India), স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া (Start Up India), খেলো ইন্ডিয়ার (Khelo India) মতো আরও বহু প্রকল্পের নাম? দেশের নাম বদলের জল্পনার মধ্যেই কেন্দ্রকে বিঁধে এই মন্তব্য করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, কয়েকদিন পরেই বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম পালটে দেওয়া হতে পারে। তা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
এহেন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) বলেন, আসলে বিরোধীদের তৈরি ইন্ডিয়া জোটকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। যদি ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্তি পাওয়ার হতো তাহলে তো প্রেসিডেন্ট ভবনটাই বাতিল করে দেওয়া উচিত। কারণ এটাই ব্রিটিশ ভাইসরয়ের বাসস্থান ছিল। তারপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা করা একাধিক প্রকল্পের নাম টেনে আনেন অধীর।
[আরও পড়ুন: সংসদের উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতিকে ডাকা হল না কেন? সনাতন ধর্মের ‘গোঁড়ামি’ নিয়ে প্রশ্ন স্ট্যালিনপুত্রের]
তিনি বলেন, “এবার থেকে কি তাহলে খেলো ইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া এসব আর বলব না? ‘ভারত’ শব্দটা নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে আমি এটাই বলতে চাই যে, তাহলে তো ‘হিন্দু’ শব্দটাও পালটে দিতে হবে। কারণ এটা বিদেশিদের দেওয়া নাম, সেখান থেকেই ইন্ডিয়া নামটি এসেছে।” প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের বেশ কয়েকটি বিখ্যাত প্রকল্প রয়েছে যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইন্ডিয়া নামটি। এছাড়াও একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের নামও ইন্ডিয়া হিসাবেই পরিচিত। দেশের নাম ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত হলে পরিবর্তন করতে হবে সমস্ত প্রকল্পের নামও।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে । ওই মামলায় দাবি করা হয়েছিল, ‘ইন্ডিয়া’ নয় সমস্ত ক্ষেত্রে ‘ভারত’ শব্দটিকেই ব্যবহার করতে হবে। যদিও শুনানিতে ওই দাবি খারিজ করে দেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘ভারত’ এবং ‘ইন্ডিয়া’ দু’টিই সঠিক শব্দ। যিনি ‘ভারত’ বলছেন তিনি ঠিক বলছেন, যিনি ‘ইন্ডিয়া’ বলছেন তিনিও ভুল বলছেন না।