অর্ণব আইচ: আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফের অনুমতি দিল আদালত। তবে কবে টেস্ট হবে তা এখনও জানা যায়নি। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে সিবিআই বেশ কিছু জিনিস, নমুনা উদ্ধার করেছে। এদিন সেই খতিয়ান আদালতে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পলিগ্রাফ টেস্টের আগে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সঞ্জয় রায়কে হাজির করা হবে। ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে জিজ্ঞেস করবেন, সে পলিগ্রাফ টেস্টে রাজি কি না। তার পর হবে পরীক্ষা। এদিন পলিগ্রাফ টেস্ট ছাড়াও সঞ্জয়ের মোবাইল থেকে তথ্য উদ্ধারের জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। এদিকে আর জি করে ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে বেশ কিছু নমুনা উদ্ধার করে সিবিআই। সেই উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর তালিকা জমা পড়েছে আদালতে। কিন্তু কী কী সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: ফের সিজিওতে সন্দীপ, পর পর ৪ দিন সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ]
এদিন সিবিআই তদন্তকারীরা লালবাজারে যান। পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা। সূত্রের দাবি, ঘটনার রাতের আগে সঞ্জয় রায় কোথায় গিয়েছে, তার সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছে।
তদন্ত শুরু করার পর থেকে অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে টানা জেরা করছে সিবিআই। এই বীভৎস ও নারকীয় ঘটনাটির পিছনে সঞ্জয় ছাড়াও একাধিক ব্যক্তি রয়েছে কি না, তদন্তের ক্ষেত্রে সেই ব্যাপারেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সময় কেউ উপস্থিত না থাকলেও পিছন থেকে তাকে কেউ মদত জুগিয়েছে কি না, তা-ও তদন্তসাপেক্ষ। কিন্তু সিবিআইয়ের মতে, জেরার মুখে সঞ্জয় বেশ কিছু তথ্য চেপে যাচ্ছে। জেরায় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে না সঞ্জয়। তার বয়ানেও রয়েছে বহু অসঙ্গতি। ঘটনার আগে ভোররাতে কেন সঞ্জয় ট্রমা কেয়ারে ভর্তি এক রোগীর দেখভালের নাম করে অত্যন্ত মদ্যপ অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালে গেল, তা নিয়ে তার বক্তব্য অনেক সময়ই মিলছে না। বরং বেশি প্রশ্ন করলেই সঞ্জয় সিবিআইয়ের কাছে দাবি করছে, যেহেতু সে সন্ধ্যার পর থেকে একাধিক যৌনপল্লিতে মদ্যপান করেছিল, তাই তার অনেক কিছুই মনে নেই।