সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকাল থেকে চলছিল সিবিআইয়ের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে রাত্রি সাড়ে ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হলেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ১৩ ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই অফিস থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কার্যত এড়িয়ে গাড়িতে উঠে রওনা দেন তিনি।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় শুরু থেকেই সিবিআইয়ের নজরে সন্দীপ। তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর মাঝ রাস্তা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। একদফা জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার সকালে ফের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন তিনি। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে ঠিক কোন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে চিকিৎসককে সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা না গেলেও, যে সময়ে হাসপাতালে এই দুষ্কর্ম হয়েছিল তখন অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন সন্দীপ। ফলে একজন অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি তার কর্তব্য পালন করেছেন কিনা সে বিষয়ে বিশদে খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিধবাকে গণধর্ষণ দক্ষিণ দিনাজপুরে! গ্রেপ্তার ৫ অভিযুক্ত]
এর পাশাপাশি ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল অর্থাৎ প্লেস অফ অকারেন্স ভেঙে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে তিনি কী কী জানেন তা জানতে চাওয়া হয় সন্দীপের কাছে। এছাড়াও অপরাধের ঘটনা ঘটার পর কার কার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন সে সম্পর্কেও সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। তবে সূত্রের খবর, সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এখনও সন্তুষ্ট নন সিবিআই কর্তারা। তাঁকে আবারও তলব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে ।
[আরও পড়ুন: ‘চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মৃত্যু’, কর্মবিরতি তুলে চিকিৎসকদের কাজে যোগ দিতে আরজি ফিরহাদের]
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল ইন্ডিয়ান অর্থপেডিক অ্যাসোসিয়েশন। চিকিৎসক সংগঠন থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, যতদিন না অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করছেন ততদিন পর্যন্ত সন্দীপের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা হবে না। সংগঠনের কোনও কনভেনশন এ যোগ দিতে পারবে না। মন্তব্য করতে বা পরামর্শও দিতে পারবে না তিনি।
পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের ওপর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। অতীতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে কোনও ক্রাইম রেকর্ড রয়েছে কিনা সে সব খতিয়ে দেখবে লালবাজার। এই গোটা প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকবেন খোদ অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার।