রমেন দাস: আর জি কর কাণ্ডে প্রকাশ্যে এসেছে সিএফএসএলের রিপোর্ট। তারপর থেকেই চাঞ্চল্য বাড়ছে। এবার সেই রিপোর্ট হাতিয়ার করে সিবিআইকে বিঁধল জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট। তাদের একটাই প্রশ্ন, সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবের রিপোর্টে যে অসঙ্গতির কথা বলা হয়েছে তা এখনও সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করা হল না কেন? কিন্তু যে আন্দোলনকারীরা রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না রেখে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল তাঁরাই এখন সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করায় জুনিয়র চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অনিকেত মাহাতো-কিঞ্জল নন্দ-দেবাশিস হালদার-আশফাকুল্লা নাইয়ারা একঝাঁক প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, ১১ নভেম্বর সিএফএসএল পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেয়। আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন, রিপোর্টের একমাস পর প্রাথমিক চার্জশিটে এবং আরও দুমাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এই রিপোর্টের কোনও প্রতিফলন CBI-এর প্রাথমিক চার্জশিটে উল্লেখ নেই কেন? ফের একবার তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও তুলেছেন তারা। এই 'অপরাধে' যুক্ত কারও বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না?
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলা হয়েছে, "CFSL সর্বশেষ পাতার রিপোর্ট অনুযায়ী বিছানা এবং কাঠের তক্তা তে কোন সম্ভাব্য হাতাহাতির চিহ্ন নেই। এমনকি সেমিনার হলের মধ্যে বিছানা বা কাঠের তক্তা ছাড়া ঘরের কোনও জায়গা থেকে কোনও রক্তচিহ্ন অথবা শারীরিক কোন অংশ তথ্য প্রমান হিসেবে পাওয়া যায়নি, তাহলে প্রশ্ন উঠছে ঘটনাস্থল কি আদৌ সেমিনার রুম? আর তার কোন বিশদ উল্লেখ CBI চার্জশিট নেই কেন?" সবমিলিয়ে ফের একবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধারের পরই দেওয়াল লাগেয়া ঘর ভাঙা হয়েছিল সংস্কারের জন্য। সেই কাজ শুরুর জন্য সবুজ সংকেতে স্বাক্ষর ছিল জুনিয়র ডাক্তারদেরই অথচ এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে ফের সেই সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাঁরা। প্রশ্ন করলেন, সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও। কিন্তু দেবাশিসদের এহেন মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, যে সিবিআই-কে তারা ডেকে এনেছিল, আজ তাদেরই তদন্ত পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কিঞ্জল-অনিকেতরা। অথচ তাঁদের কার্যকলাপ, টাকা তোলা নিয়ে যে অভিযোগগুলো উঠেছে তার কোনও ইতিবাচক জবাব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ।