সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর খানেক ধরেই ভারতীয় বিনোদুনিয়ায় পাকিস্তানী শিল্পীদের নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সিনে সংগঠন। বিশেষ করে পুলওয়ামা কাণ্ডের পর থেকে এদেশে পাক তারকাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে। সুপ্রীম কোর্টের রায়ে শাপমোচন ঘটলেও তার পর আর সেভাবে কোনও পাক শিল্পীকে এদেশের সিনেজগতে কাজ করতে দেখা যায়নি। তবে চলতি বছরের মে মাসেই বলিউড সিনেমা 'আবির গুলাল'-এর হাত ধরে পাকিস্তানি সুপারস্টার ফাওয়াদ খানের ভারতীয় বিনোদুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করার কথা। কিন্তু পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পর সেই পরিকল্পনা সম্ভবত বিশ বাঁও জলে! ফাওয়াদ খান-সহ অন্যান্য পাক তারকাদের চিরতরে নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফিল্ম ফেডারেশেন অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি অশোক পণ্ডিত।
এদিকে বুধবার দিনভর পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে গোটা বিশ্ব তোলপাড় হলেও কোনওরকম শোকবার্তা আসেনি পাক মুলুকের তারকাদের তরফে। তবে ভারতীয় সিনে সংগঠনের হুঁশিয়ারি এবং নেটপাড়াজুড়ে ফাওয়াদ খানকে বয়কটের ডাক ওঠার পরই অভিনেতাকে শোকবার্তা জ্ঞাপন করতে দেখা গেল। ফাওয়াদ তাঁর ইনস্টা স্টোরিতে লিখেছেন, 'পহেলগাঁওয়ে এমন জঘন্য হামলার খবর শুনে, আমি গভীরভাবে দুঃখিত। এই ভয়ানক ঘটনার শিকার হতে হল যাঁদের, তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি এবং এই কঠিন সময়ে নিহতদের পরিবারের জন্য শক্তি এবং আরোগ্য কামনা করি।'
৮ বছরের বনবাস কাটিয়ে সবে বলিউডে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছিলেন পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান। পয়লা এপ্রিলই মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত বলিউড ছবি ‘আবির গুলাল’-এর ঝলক। যেখানে বাণী কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন পাকমুলুকের ‘হ্যান্ডসাম হিরো’। তবে সুদর্শন নায়কের ভারতীয় বিনোদুনিয়ায় প্রত্যাবর্তনের খবরে তরুণীদের মনে হিল্লোল উঠলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাজ ঠাকরের দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। পাক অভিনেতার সিনেমা মহারাষ্ট্রে রিলিজ করলে ‘দক্ষযজ্ঞ বাঁধবে’ বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ওই রাজনৈতিক দল। এবার পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ফের একবার বলিউড সিনে সংগঠনের তরফে পাকশিল্পীকে বয়কটের ডাক উঠল। শুধু তাই নয়, পাক-অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার জন্য রোষানলে পড়তে হল বাণী কাপুরকেও। অশোক পণ্ডিতের প্রশ্ন, ‘বাণী কাপুরের পরিবারের কাউকে গুলি করলে ও কি ফাওয়াদের সঙ্গে কাজ করত?’নিজের দেশেই জঙ্গিহামলায় সরব না হওয়ায় এদিকে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় বাণী কাপুরকেও। শেষমেশ অভিনেত্রীও শোকপ্রকাশ করে জানান, 'পহেলগাঁওয়ে নিরীহ মানুষের উপর হামলার ঘটনায় আমি শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছি। এতটাই হতভম্ব হয়েছি যে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমি বিধ্বস্ত। নিহতদের পরিবারের জন্য আমার প্রার্থনা রইল।'
