shono
Advertisement

‘বেচারামের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়’, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মন্তব্যে ফের প্রকাশ্যে দুই বিধায়কের দ্বৈরথ

রবীন্দ্রনাথবাবুকে সাথে নিয়েই একজোট হয়ে কাজের বার্তা দিয়েছিলেন বেচারাম মান্না।
Posted: 08:33 PM Nov 14, 2020Updated: 08:39 PM Nov 14, 2020

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বেচারাম মান্নার (Becharam Manna) সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করা কার্যত অসম্ভব, তা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। শুক্রবারই বেচারাম মান্না সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী দিনে রবীন্দ্রনাথবাবুকে সঙ্গে নিয়েই একজোট হয়ে লড়াই করবেন। শনিবার সিঙ্গুরের ‘মাস্টারমশাই’ তাঁর বাড়িতে বসেই পালটা জবাব দিলেন। বললেন, “বেচারাম মান্নার এই কথা বিশ্বাস করতে পারছি না।”

Advertisement

সবরকমভাবে সহযোগিতা করার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বেচারামের উদ্দেশ্যে পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। বলেন, “তাহলে মহাদেব দাসকে ব্লক সভাপতি মেনে নিতে সমস্যা কোথায়?” রবীন্দ্রনাথবাবু বেচারামের অধিকারের সীমার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “বেচারাম মান্না হরিপালের (Haripal) বিধায়ক হিসাবে হরিপালের সভাপতি ঠিক করতে পারেন, সেখানে আমি সিঙ্গুরের (Singur) বিধায়ক হিসেবে স্থানীয় সভাপতি নির্ধারণ করতে পারব না? বেচারাম মান্না কোন অধিকারে নাক গলিয়ে তাঁর পছন্দমতো সভাপতি নির্বাচন করেন? যাঁকে সভাপতি হিসেবে বেচারাম মান্না বেছে নিয়েছেন তাঁকে কোনওমতেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।”

সহযোগিতার প্রশ্নে বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দেগে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য (Rabindranath Bhattacharya) জানান, তিনি যখন সভাপতি ছিলেন তখন সিঙ্গুরের কার্যালয় ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁকে তার চাবি দেওয়া হয়নি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহাদেব দাসের ক্ষেত্রেও। তাই বারবার অপমান সহ্য করার পর আর নতুন করে সিদ্ধান্ত বদল করা সম্ভব নয় বলেও জানান রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। [আরও পড়ুন: পাক গোলায় শহিদ সুবোধ ঘোষের পরিজনদের সঙ্গে দেখা, পাশে থাকার আশ্বাস তেহট্টের বিধায়কের]

এদিকে, শুক্রবার সিঙ্গুরে প্রতিবাদ সভা ডেকে বেচারাম অনুগামীরা সিঙ্গুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়েছিলেন। তারপর বেচারাম নিজে সাংবাদিক সম্মেলন করে রবীন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা জানান। নিজেকে স্বচ্ছ প্রমাণ করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু বাস্তবের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা বলেই দাবি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অনুগামীদের। বক্তব্য, নিজের এলাকা ছেড়ে অন্য বিধানসভার সব কাজে হরিপালের বিধায়কের নাক গলানো কিছুতেই মেনে নেবেন না তাঁরা। মাস্টারমশাইয়ের দেখানো পথেই হাঁটবেন তাঁরা। সিঙ্গুরের মানুষেরাও জানিয়েছেন একমাত্র তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বই পারে ব্যবস্থা নিতে। নয়তো বিধানসভা নির্বাচনে তার মাশুল গুনতে হতে পারে দলকে। 

[আরও পড়ুন: ‘গাড়ির ভাঙা কাঁচ বদলানো যাবে, সরকার ভেঙে দিলে কী করবেন?’ তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলীপের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার