সুমন করাতি, হুগলি: লকেট চট্টোপাধ্যায় এখন অতীত। রাজনীতির ময়দানে পা রেখেই হুগলিতে ঘাসফুল ফুটিয়েছেন তিনি। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলপ্রকাশের পরই হোয়াটসঅ্যাপে 'দিদি'র সঙ্গে কথা হয় 'দিদি নম্বর ওয়ানে'র। ফোন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুধবার নিজেই সেকথা জানান তৃণমূলের জয়ী তারকা প্রার্থী।
রচনা বলেন,"উনি (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বললেন, আমি তো তোমায় বলেছিলাম জিতবে।" ভোটের টিকিট পাওয়ার পর থেকেই হুগলির প্রায় মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন রচনা। কখনও জনসভা, রোড শো করে গিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেরেছেন জনসংযোগ। রাজনীতির ময়দানে একবারেই 'নবীন' তিনি। তাই প্রচারের ফাঁকে ফাঁকে 'দিদি'র টিপস নিয়েছেন রচনা। মাঝেমধ্যেই ফোনে কথা হয়েছে। সেসব দিনের স্মৃতিচারণাও করেন তিনি। বলেন, "দিদি কনফিডেন্ট ছিলেন, আমি জিতে আসব। আমি প্রচারের ফাঁকে ফোনে কথা বললাম। জিজ্ঞেস করেছিলাম পারছি তো? দিদি বললেন, রচনা তুমি জিতছো। ব্যস! আর কিছু বলিনি।" দলের 'সেনাপতি' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভোটের আগেও বারবার কথা হয়েছে তাঁর। অভিষেকও বলেছিলেন, "দিদি (পড়ুন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়) তুমি চিন্তা কোরো না। তুমি জিতছো।"
[আরও পড়ুন: অন্তর্দ্বন্দ্বেই হার? ভোটের ফলের পরদিন বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ]
অভিনয় থেকে রাজনীতির ময়দানে রচনা। দিল্লির দৌড়ে সফল তৃণমূলের জয়ী তারকা প্রার্থী। সাংসদ হিসাবে দিল্লিতে যাওয়ার ব্যাপারে উত্তেজিত রচনা। তাঁর কথায়, "প্রথম দিন যে সংসদ কি হবে, তা নিয়ে উত্তেজিত।" বলে রাখা ভালো, এবারের লোকসভার ফলে তৃণমূলে নারীশক্তির জয়জয়কার। শাসক শিবিরে নতুন মুখের ভিড়ে রয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূলের টিকিটে জয়ী মোট ১১ জন মহিলা প্রার্থী। সংসদে ৩৮ শতাংশ মহিলা প্রতিনিধি তৃণমূলের। মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে আপাতত হুগলির 'ঘরের মেয়ে' হয়ে ওঠাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলেই জানান রচনা।