সুমন করাতি, হুগলি: সাংসদ হতেই দিদিমণির ভূমিকায় 'দিদি নম্বর ওয়ান'। ক্লাসরুমে রীতিমতো ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া ধরলেন তিনি। সঠিক উত্তর মিলতেই ভালো ছেলে বলে বাহবাও দিলেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভূমিকায় পেয়ে আপ্লুত পড়ুয়ারাও।
সাংসদ হওয়ার পর থেকেই নিয়মিত এলাকায় যাচ্ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনওদিন হাসপাতাল, কোনওদিন স্কুলে ঢু মেরে দেখছেন কীভাবে চলছে কাজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎই হুগলির পাণ্ডুয়ার খন্যান প্রাথমিক স্কুলে যান তিনি। সটান ঢুকে পড়েন ক্লাসে। দেখেন, বাংলার শিক্ষক পড়াচ্ছেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। বানান জিজ্ঞেস করেন। চটপট উত্তর দেয় খুদেরা। তাঁদের প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তারকা সাংসদ। পড়ুয়াদের আবদার মেনে অটোগ্রাফও দিতে দেখা যায় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: বৃহস্পতিতে লক্ষ্মীর কৃপা শেয়ার বাজারে, ২৫ হাজারে উঠে ইতিহাস নিফটির]
স্কুল ঘু্রে দেখার পর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়েকটা ঘরের ছাদের চাঙড় ভাঙছে। সেগুলো সারাতে হবে। ঘরেরও প্রয়োজন আছে। মিড মিল যে ঘরে রান্না হয় সেটা কোথাও করা গেলে ভালো হয়। সরকারি স্কুলেও ভালো পড়াশোনা হয় ইংরেজি শিক্ষা হয়। সেটা যাতে আরও ভালোভাবে হয় সেটা দেখা উচিত। দেখতে হবে যাতে স্কুলছুট না বাড়ে। খুদেরা যাতে পড়াশোনা রচনা। সেখানকার পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন সাংসদ। প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সাংসদকে নিজের মোবাইলে হাসপাতালের ছবি ক্যামেরাবন্দি করতেও দেখা যায়।