সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ মানেই অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi Number 1) মানেই রচনার মিষ্টি, প্রাণখোলা হাসি ও প্রতিযোগীদের সঙ্গে জমজমাট আড্ডা। রচনার জাদুতেই এই গেম শো’র টিআরপি রোজই বাড়ছে। কিন্তু হঠাৎ করেই দিদি নাম্বার ওয়ানের দায়িত্ব নিলেন সঞ্চালক সুদীপা চট্টোপাধ্যায় ও সৌরভ দাস। অনুরাগীরা তো দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন হঠাৎ কেন দিদি নাম্বার ওয়ানে বদল। তারপর অবশ্য জানা গেল বাবাকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে শোকাচ্ছন্ন। বাবার পৌরলিকক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ থেকে বিরতি নিয়েছেন।
তবে এবার ফেসবুক লাইভে এসে অনুরাগীদের সুখবর নিজেই দিলেন রচনা। অভিনেত্রী জানালেন, ‘আমি ফিরে এসেছি। সোমবার থেকে আবার দিদি নাম্বার ওয়ানের দায়িত্বে থাকব আমি!’
এই ফেসবুক লাইভে রচনা আরও জানালেন, ‘ দিদি নাম্বার ওয়ানে আমাকে না দেখতে পেয়ে অনেকেই আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, কবে আবার আমি ফিরব। তাদের জন্যই এই লাইভ। আমি এখনও মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত। কিন্তু কথায় আছে শো মাস্ট গো অন। তাই আপনাদের ভালবাসা পেতে আবার ফিরে এসেছি। অনেকটা ঠিক ঘরে ফেরার মতো। কারণ, এই দিদি নাম্বার ওয়ান আমার কাছে ঘরের মতোই। দর্শকদের সঙ্গে নিয়ে দিদি নাম্বার ওয়ান একটা বড় পরিবার।’ কথায় কথায়, সুদীপা ও সৌরভকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রচনা।
[আরও পড়ুন: Sreelekha Mitra: ‘তুমি তো আমার পাশেই শুয়ে থাকবে, বউ জানে না?’ ফাঁস শ্রীজাত-শ্রীলেখার ‘গ্যাঁড়াকল’]
প্রায় দশ বছর ধরে দর্শকদের মন জয় করে আসছে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’। এর আগে কিছুদিনের জন্য রচনার জায়গায় সঞ্চালনার দায়িত্ব সামলে ছিলেন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। তবে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এ দেবশ্রীর সঞ্চালনা ছাপ ফেলতে পারেনি দর্শকদের মনে। তাই ফের রচনাকেই ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় প্রযোজক সংস্থা। দর্শকরা যেন অনুষ্ঠান উপভোগ করেন, সেটাই লক্ষ্য রাখতে হবে। এমনটাই পরামর্শ রচনার। ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর আসল ইউএসপি-ই হল দর্শকরা এই অনুষ্ঠান দারুণ উপভোগ করেন।
গত ১৫ নভেম্বর পিতৃহারা হয়েছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। রচনার কাছে তাঁর বাবা ছিলেন বন্ধুসম। সঠিক অর্থে বলতে গেলে রচনার কাছে তাঁর বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ফ্রেন্ড, ফিলজফার ও গাইড। তাই তো বাবাকে হারিয়ে হঠাৎই অনেকটাই অগোছালো হয়ে উঠেছেন রচনা। কারণ, বাবাই তো তাঁকে শিখিয়ে ছিলেন জীবন গোছাতে। সেই মানুষটিই আর তাঁর পাশে নেই।