সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড ফিলিপিন্সে (Phillipines)। স্টুডিওয় ঢুকে গুলি করে রেডিও সঞ্চালককে খুন (Shot dead) আততায়ীর! জুয়ান জুমালন নামে এক সাংবাদিক-সঞ্চালক মিন্দানাও এলাকায় নিজেই একটি রেডিও চ্যানেল চালাতেন। তা ভালো চলছিলও। কিন্তু আচমকা রবিবার তাঁর বাড়ির সেই স্টুডিওয় ঢুকে পর পর গুলিতে ৫৭ বছরের জুয়ানের দেহ ঝাঁজরা করে দেয় এক আততায়ী। খুন করে বেরনোর আগে জুয়ানের গলা থেকে সোনার চেনও খুলে নিয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ নিয়ে গত এক বছরে ফিলিপিন্সে চারজন সাংবাদিক খুন হলেন। বলা হচ্ছে, সাংবাদিকদের (Journalists) জন্য ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এই দ্বীপরাষ্ট্র।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার স্টুডিওয় (Studio) কাজ করার সময়ে ঢুকতে চায় আততায়ী। জুয়ান তার কারণ জানতে চাইলে বলা হয়, রেডিও চ্যানেলের মাধ্যমে সে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘোষণা করতে চায়। তা শুনে জুয়ানও স্টুডিওর দরজা খুলে দেন। সেখানে ঢুকেই জুয়ানের মাথা লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালাতে থাকে সেই ব্যক্তি। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জুয়ান। সেখান থেকে চম্পট দেয় আততায়ী। তার আগে জুয়ানের গলার সোনার চেনটি খুলে নিয়ে পালায়।
[আরও পড়ুন: প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে ২০ বছর পর নতুন করে সম্পর্ক, বেড়াতে গিয়ে ভয়ংকর পরিণতি মহিলার!]
জানা গিয়েছে, নিহত সাংবাদিক জুয়ান সাম্প্রতিক বিষয়ের উপর আলোচনামূলক অনুষ্ঠান করে থাকেন। ‘ডিজে জনি ওয়াকার’ নামে তিনি সঞ্চালনা করেন। অযথা কাউকে আক্রমণ করা একেবারেই তাঁর অনুষ্ঠানের বিষয় নয়। এমনিই জানিয়েছেন সরকারের সংবাদমাধ্যম সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের প্রধান। তবু প্রাথমিক অনুমান, কাজ সংক্রান্ত কোনও ঝামেলার কারণেই আততায়ীর টার্গেট হয়েছেন জুয়ান। আর তাই হত্যা।
[আরও পড়ুন: জল্পনাই সত্যি, সিপিএমের দলীয় মুখপত্রের সম্পাদক বদল, নতুন দায়িত্বে শমীক লাহিড়ি]
সাংবাদিক-সঞ্চালক জুয়ান জুমালনের এভাবে খুন হওয়ার খবর জানতে পেরে তীব্র নিন্দা করেছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস। তাঁর মন্তব্য, ”দ্রুত আততায়ীকে ধরে বিচার শুরু হোক। এই গণতান্ত্রিক দেশে সাংবাদিকদের উপর এই হামলা একেবারে বরদাস্ত করা হবে না। যারা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় এভাবে হস্তক্ষেপ করবে, তারা চরম পরিণতির জন্য তৈরি থাকুন।”