সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির পূর্বাভাস সম্পর্কে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নরের ধারণা মোটেই সদর্থক নয়। রঘুরাম রাজন মনে করছেন, তার মধ্যে অনেকটাই জল মেশানো রয়েছে। আর দুধ-জলের মিশ্রণ থেকে জলটুকু সরিয়ে নিলেই বোঝা যাবে আদতে পরিস্থিতিটা ঠিক কেমন। দেশের স্বাধীনতার শতবর্ষের আগে ভারতের বৃদ্ধির হারে লক্ষ্যমাত্রা ৯ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে রাখা হচ্ছে। এবং বর্তমানে সেই জিডিপির অঙ্ক আট থেকে সাড়ে আটের মধে্য ঘোরাফেরা করছে বলে দাবি করা হয়।
সেই প্রসঙ্গেই মন্তব্য করতে গিয়ে আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan) জানিয়েছেন, যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে তার অনেকটাই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে দেখানো। প্রকৃত সত্য তার থেকে অনেকটাই দূরে। সরকারিভাবে জিডিপি ৮ থেকে ৮.৫ শতাংশ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা ৬ থেকে ৬.৫ শতাংশের মধে্য ঘোরাফেরা করছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির কেলগ বিজনেস স্কুলের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক বলেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটাতে গেলে এবং জিডিপি ৯ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে নিয়ে যেতে হলে দেশের আর্থিক ক্ষেত্রকে স্থিতিশীল করতে হবে।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় পর্বের ভোটের হার কীভাবে আচমকা বৃদ্ধি? প্রশ্ন বিরোধীদের]
কিন্তু বর্তমানে ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি রীতিমতো সন্দিহান সে কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন রাজন। বলেছেন, “ভারতের মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি দেখলেও এই ফাঁকটা ধরা যাবে।” ভারতের মুদ্রাস্ফীতির ছবি কেন জিডিপি বৃদ্ধির উপর প্রতিফলিত হয় না, প্রশ্ন তুলেছেন রাজন। ব্যাখ্যা করে বলেছেন, “যখন বৃদ্ধি হয় দ্রুত অথচ জোগান কম থাকে তখনই এই রকম মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি হয়। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। কিন্তু ভারতে তা হচ্ছে না।” ভারতে কৃষিক্ষেত্রেই কাজ পাচ্ছেন মানুষ, কারণ, সেখানে উৎপাদন কম। অন্যত্র কাজ পাচ্ছেন না তাঁরা এবং সেটা দেশের প্রকৃত উন্নয়নের পক্ষে ভালো সংকেত নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রবীণ এই অর্থনীতিবিদ।