সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: মাত্র কয়েক ঘণ্টার দানবীয় তাণ্ডবে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে সবকিছু। মধ্যরাতের ধ্বংসলীলা প্রাণ কেড়েছে ৩০০-র বেশি মানুষের। এক মুহূর্তে সব হারিয়ে পথে বসতে হয়েছে আরও শতাধিক মানুষকে। মৃত্যুপুরী ওয়ানড়ে এবার সেই গৃহহারাদের পাশে দাঁড়ালেন রাহুল গান্ধী। ওয়ানড় সফরে গিয়ে শুক্রবার এলাকার প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী ঘোষণা করলেন, ওয়ানড় বিপর্যয়ে ঘরছাড়া মানুষদের জন্য শতাধিক বাড়ি তৈরি করে দেবে কংগ্রেস।
প্রকৃতির রুদ্ররোষে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া ওয়ানড় পরিদর্শনে বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এলাকা পরিদর্শনের পর শুক্রবার রাহুল বলেন, ''আমি গতকাল থেকে এখানে আছি। গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরগুলিতে গিয়ে গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি। আজ স্থানীয় প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে আমাদের। প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির বিশদ তথ্য আমাদের দিয়েছেন।" একইসঙ্গে রাহুল জানান, "আমরা এখানে যথাসাধ্য সাহায্যের করতে প্রস্তুত। কংগ্রেস পরিবার এখানে গৃহহারাদের জন্য ১০০-র বেশি বাড়ি তৈরি করে দেবে।"
[আরও পড়ুন: ৩ UPSC পড়ুয়ার মৃত্যু, দিল্লি কোচিং সেন্টার কাণ্ডে এবার সিবিআই তদন্ত]
ভূমিধস পর্যবেক্ষণের পর রাহুল বলেন, 'এখানে যা ঘটেছে তা ভয়াবহ বললেও কম বলা হয়। এই ধরনের বিপর্যয় কেরল কখনও দেখেনি। আমি বিষয়টি নিয়ে দিল্লির পাশাপাশি এখানকার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করব। এটি অন্য ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এই ধরনের পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে অন্যরকম রণকৌশল তৈরি হওয়া প্রয়োজন।'
[আরও পড়ুন: হাত ফসকে কুয়োতে হাতুড়ি, উদ্ধারে নেমে প্রাণ গেল ৪ শ্রমিকের]
প্রসঙ্গত, ওয়ানড়ে বিপর্যয়ের (Wayanad Landslide) পরদিন অর্থাৎ বুধবারই ওয়ানড়ে যাবেন বলে মনস্থ করেছিলেন রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য যাওয়ার অনুমতি পাননি। এর পর বৃহস্পতিবার ওয়ানড় পৌঁছে এলাকা পরিদর্শনের পর রাহুল বলেন, ”বাবার মৃত্যুতে আমি যেমন অনুভব করেছি, আজ আমি ঠিক তেমনই অনুভব করছি। এখানে মানুষ শুধু একজন বাবাকে নয়, পুরো পরিবারকে হারিয়েছে। পুরো দেশের মনোযোগ বর্তমানে ওয়ানড়ের দিকে।” সেই সঙ্গে কংগ্রেস নেতা বলেন, ”আমরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এখানে এসেছি। বহু মানুষ তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই পরিস্থিতিতে মানুষের সঙ্গে কথা বলা খুব কঠিন। কারণ আপনি সত্যিই জানেন না তাঁদের কী বলতে হবে।”