সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় টানা তৃতীয় দিন ইডির জেরার মুখোমুখি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ছাড়ার আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়ে দিয়েছিল বুধবারও ফের আসতে হবে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে। এদিকে এদিন কংগ্রেস সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন দলীয় সমর্থকরা। পরে পুলিশ এসে তাঁদের আটক করে পুলিশ বাসে তুলে দেয়। ধাক্কাধাক্কিতে দপ্তরের সামনে ব্যারিকেড ভেঙে যায়।
পাশাপাশি, সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধীমূর্তির (Mahatma Gandhi) পাদদেশে লাগাতার বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করছেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, কেবল প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণেই বিপাকে ফেলা হচ্ছে রাহুলকে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সদর দপ্তরের দরজা আপাতত সাধারণ কর্মীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল ছাড়া আর কেউই বুধবার প্রবেশাধিকার পাবেন না।
[আরও পড়ুন: পওয়ারকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট করে ১ মাস ধরে জেলে ছাত্র! উদ্ধব সরকারকে ভর্ৎসনা আদালতের]
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুলকে প্রথম তলব করা হয় সোমবার। সেদিন সকাল ১১ টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত জেরা করা হয় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে। ইডি আধিকারিকরা রাহুলের সব জবাবে সন্তুষ্ট হতে না পেরে মঙ্গলবার ফের তলব করেন তাঁকে। সেদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দিল্লির ইডি (ED) অফিসে যান রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবারও গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।
এরপরই ফের বুধবার সকালেও ইডির দপ্তরে গিয়েছেন রাহুল। তার আগে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তর থেকে বেরিয়ে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে যান মা সোনিয়া গান্ধীকে দেখতে। কংগ্রেসের সভানেত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গত রবিবার থেকে। রাহুলের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন ও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে চিতার হামলায় মৃত্যু ৩ শিশুর, ‘মানুষখেকো’কে হত্যার নির্দেশ প্রশাসনের]
বলে রাখা ভাল, এই মামলায় আগামী ২৩ জুন ইডির দপ্তরে হাজিরে দেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সোনিয়াকে। ৮ জুনই ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু ৭৫ বছরের কংগ্রেস নেত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে তদন্তকারী সংস্থার কাছে নতুন তারিখ চেয়েছিলেন । এরপরই ইডি তাঁকে জানিয়ে দেয়, আগামী ২৩ জুন হাজিরা দিতে হবে বর্ষীয়ান নেত্রীকেও।