সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর সামনে মাথা নোয়ান কেন? লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন স্পিকার ওম বিড়লাকে সটান এই প্রশ্ন করে বসেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তবে কংগ্রেস সাংসদকে পালটা জবাব দেন স্পিকার। সাফ জানিয়ে দেন, বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করাই তাঁর নীতি। গোটা কথোপকথন নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে সোমবারের লোকসভা অধিবেশনে।
সোমবার রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সময়ে বক্তব্য রাখছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। সেই সময়েই পুরনো ঘটনা টেনে আনেন তিনি। দ্বিতীয়বার স্পিকার পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার সঙ্গে হাত মেলান বিড়লা। সেই মুহূর্তের কথা উল্লেখ করে রায়বরেলির সাংসদ বলেন, "আপনি যখন মোদির সঙ্গে হাত মেলালেন আর আমার সঙ্গে হাত মেলালেন, দুই ক্ষেত্রে আমি খানিকটা পার্থক্য লক্ষ্য করলাম। আমার সঙ্গে হাত মেলানোর সময়ে আপনি সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু মোদির সঙ্গে হাত মেলাতে গিয়ে ঝুঁকে পড়েন।"
[আরও পড়ুন: ন্যায় সংহিতায় বাড়ল পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ? কী বলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী]
এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে রাহুলের প্রশ্ন, "আপনি কেন প্রধানমন্ত্রী সামনে মাথা নোয়ান? লোকসভায় আপনিই শেষ কথা। আপনি যা বলেন সেটা ভারতীয় গণতন্ত্রকে তুলে ধরে। কিন্তু এখন স্পিকারের কুর্সিতে দুজন বসে রয়েছে। একজন লোকসভার স্পিকার, অন্যজন ওম বিড়লা (Om Birla)।" কংগ্রেস সাংসদের এই কথার পরেই তুমুল হট্টগোল শুরু হয় লোকসভা জুড়ে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানান, স্পিকারের কুর্সির অবমাননা করছেন রাহুল।
তবে যাবতীয় হই-হট্টগোল থামিয়ে দিয়ে স্পিকার বলেন, "প্রধানমন্ত্রী এই সদনের নেতা। আর আমার শিক্ষা বলে, মাথা ঝুঁকিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান জানাতে হয়। আমার ব্যক্তিগত জীবন হোক বা কর্মক্ষেত্র- সব জায়গাতেই এই নীতি মেনে চলি। সমবয়সিদের সঙ্গে আলাদা রকমের ব্যবহার করি। এটাই আমার জীবনের নীতি।" তবে এই মন্তব্যেও পালটা দিয়েছেন রাহুল। তাঁর কথায়, যেহেতু স্পিকার লোকসভার সবচেয়ে শীর্ষস্থানে থাকেন তাই সদস্যরা সকলে তাঁর কাছে মাথা নোয়াতে পারেন। কিন্তু স্পিকারের উচিত নয় তিনি লোকসভার কোনও সদস্যের সামনে ঝুঁকবেন।