বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: দক্ষিণ নাকি উত্তর ভারত। রায়বরেলি নাকি ওয়ানড়। কোথাকার সাংসদ থাকবেন তা নিয়ে দ্বিধায় রাহুল গান্ধী। কিন্তু রাহুলের প্রথম পছন্দ রায়বরেলি। তিনি পাকাপাকি রায়বরেলি নিয়েই থাকতে চান বলে কেরল নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন। তার পরেই তিনি যে ওয়েনাড়ের সাংসদ থাকছেন না তা স্পষ্ট করল কেরল কংগ্রেস। বুধবার দলের রাজ্য সভাপতি কে সুধাকরণ জানান, সোনিয়া তনয় রায়বরেলির সাংসদ থাকবেন। ছাড়বেন ওয়ানড়।
বুধবার রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন, “আমি দ্বিধায় আছি। ওয়ানড়, নাকি রায়বেরলি, লোকসভায় কোন আসনের প্রতিনিধিত্ব করব।” তাঁকে দ্বিতীয়বারের জন্য জয়যুক্ত করায় ওয়ানাডের মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাতে বুধবার সেখানে রোড-শো করেন রাহুল। মঙ্গলবার বোন প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে রায়বরেলিতেও কৃতজ্ঞতা সভা করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণের কথায় ধরা পড়ে, রাহুলের বুধবারের রোড-শো একই সঙ্গে ওয়ানড়কে বিদায় জানানোরও আয়োজন।
[আরও পড়ুন: কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে ভারতীয়দের মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০! শোকপ্রকাশ মোদির]
সুধাকরণ (K Sudhakaran) বলেন, আমার কাছে খবর আছে রাহুলজি লোকসভায় রায়বরেলিকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। সুধাকরণের ব্যাখ্যা, রাহুলজির রাজনৈতিক ব্যস্ততা আগামী দিনে আরও বেড়ে যাবে। স্বভাবতই দিল্লি থেকে কাছে রায়বরেলির সাংসদ থাকা তাঁর জন্য সহজ হবে। গত পাঁচ বছর ওয়ানাডের সাংসদ হিসাবে তিনি এলাকার জন্য যথেষ্ট করেছেন বলে কৃতজ্ঞতা জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
[আরও পড়ুন: মোদির উদ্বোধনের আগেই ইতালিতে গান্ধী মূর্তি ভাঙল খালিস্তানিরা, ক্ষুব্ধ ভারত]
যদিও রাহুল শেষ পর্যন্ত রায়বরেলির সাংসদ থেকে গেলে তার পিছনে দিল্লি থেকে দূরত্বের সুবিধার চেয়ে অনেক বেশি কাজ করবে উত্তরপ্রদেশের ওই লোকসভার সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্কের বিষয়টি। মা সোনিয়া রায়বরেলি থেকে চারবার জিতে লোকসভায় গিয়েছেন। এছাড়া রাহুলের ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী রায়বরেলি থেকে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন। ফলে রায়বরেলির সাংসদ থাকাটা রাহুলের জন্য অনেক বেশি রাজনৈতিক বার্তাবহ সিদ্ধান্ত হবে। দলের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি বিরোধী দলনেতা হলে আগামীদিনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম সামনের সারিতে থাকবে।