সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি বদলে গিয়েছেন। ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) অভিজ্ঞতা তাঁর চরিত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। এমনই দাবি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। তাঁর মতে, অন্যের কথা শোনার এবং ধৈর্য ধরে থাকার শক্তি তাঁর মধ্যে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছিল রাহুল তথা কংগ্রেসের স্বপ্নের ভারত জোড়ো যাত্রা। এই ক’মাসে ২ হাজার কিলোমিটার পেরিয়ে মধ্যপ্রদেশে পৌঁছেছেন রাহুলরা। এই দীর্ঘ যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা ঠিক কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরে রাহুলকে বলতে শোনা যায়, ”অনেক উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ কিছু অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আমার ধৈর্যশক্তি অনেকটাই বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, আট ঘণ্টা ধরে ধাক্কাধাক্কিতেও আমার বিরক্ত লাগছে না। আগে ঘণ্টা দুয়েকেই বিরক্ত হয়ে পড়তাম।”
[আরও পড়ুন: ‘মোদি রাবণ’, কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের কটাক্ষ ঘিরে ভোটমুখী গুজরাটে বিতর্ক তুঙ্গে]
কেবল এইটুকুই নয়। এর সঙ্গে তৃতীয় এক পরিবর্তনের কথাও বলছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর কথায়, ”মানুষের কথা শোনার ক্ষমতাও আমার আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আমি মনে করি এর ফলে আমার অনেক উপকার হয়েছে।” এখানেই শেষ নয়। দীর্ঘ পদযাত্রায় অংশ নেওয়ার ফলে রাহুলের হাঁটুর পুরনো ব্যথাও উধাও হয়েছে। এপ্রসঙ্গে রাহুল জানাচ্ছেন, ”আমার ভয় ছিল আমি যাত্রা সম্পূর্ণ করতে পারব কিনা। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে আমার ব্যথা কমতে শুরু করেছে।”
কংগ্রেসের এই যাত্রার আড়াই মাস পেরিয়ে গিয়েছে। শুরু থেকেই গোটা যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাহুল। যাত্রা চলাকালীন রাহুল কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেননি। এমনকী গুজরাট ও হিমাচল বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও তিনি যাননি। আসলে রাহুল ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রাকেই আপাতত নিজের ধ্যান জ্ঞান করে ফেলেছেন। তাই এবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও যোগ দেবেন না।
[আরও পড়ুন: পুরীর সৈকতে কিশোরীর বিকৃত অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার! ধর্ষণ করে খুন, অভিযোগ পরিবারের]
যদিও বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, এই যাত্রা কি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে এর জন্য সংসদের অধিবেশনেও যোগ দেওয়া যাবে না? এই ধরনের সমালোচনার মধ্যেই কিন্তু রাহুল হেঁটে চলেছেন। তাঁর নিজের মতে, এর ফলে ব্যক্তিত্বে বদল আসছে। আপাতত তাই এই কর্মসূচিকেই অগ্রাধিকার দিতে মনস্থ করেছেন তিনি।