স্টাফ রিপোর্টার: “ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীদের কাছ থেকে আমরা ভয় না পাওয়ার শিক্ষা পেয়েছি। ওঁরা সামনে থেকে মৃত্যুকে বরণ করেছেন। কিন্তু কেউ ভয় পাননি। ওঁরাই শিখিয়েছেন নির্ভীকভাবে কাজ করতে। আমরাও নির্ভীকভাবে মোদি সরকারের প্রতিহিংসার মোকাবিলা করব।” কথাগুলো বলছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম (P Chidambaram)। বুধবারই কংগ্রেস পরিচালিত ৩টি ট্রাস্টের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার। যার সঙ্গে আবার সরাসরি যুক্ত গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। তারপর থেকে কংগ্রেসের (Congress) প্রায় সব স্তরের নেতাই ‘সত্যে’র পথ নিয়েছেন। কংগ্রেস বোঝাতে চাইছে, লাদাখ এবং করোনার মতো ইস্যুতে সরকারের বিরোধিতা করায়, তাঁদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে।
খোদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলছিলেন, ‘মাননীয় মোদিজি মনে করেন, পুরো দুনিয়াই ওঁর মতো। এটা ভাবেন যে, সবাইকেই হয় টাকা দিয়ে কেনা যায়, অথবা কোনও কিছুর মাধ্যমে ভয় দেখানো যায়। উনি এটা বোঝেন না যে, যাঁরা সত্যের হয়ে লড়াই করেন, তাঁদের না কেনা যায়, না ভয় দেখানো যায়।’ কংগ্রেসের অন্য নেতাদের বক্তব্য, ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ করছে কেন্দ্র। সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা বলছেন, “গান্ধী পরিবারের ফাউন্ডেশনে যত টাকার লেনদেন হয়েছে তার অন্তত একশোগুণ বেশি হয়েছে বিজেপি ও আরএসএস ঘনিষ্ঠ ট্রাস্টগুলিতে। এবার সেগুলোরও তদন্ত হোক।”
[আরও পড়ুন: ফের মিথ্যাচার চিনের! গালওয়ান থেকে সরলেও প্যাংগংয়ে মোতায়েন বহু চিনা সেনা]
রাহুলের বক্তব্যের আগেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করেন রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। বলেন, “আমরা পরিষ্কার। সরকার যা জানতে চায়, আমরা উত্তর দেব। অডিট রিপোর্ট, ট্যাক্স রিটার্ন সবই তৈরি আছে। কিন্তু উলটো দিকটা? ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, আরএসএস, বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশন, ওভারসিজ অব বিজেপি, এগুলোয় তো আমাদের একশোগুণ টাকা লেনদেন হয়েছে। এগুলোর দিকে কেন নজর পড়ছে না?”
The post ‘সত্যের পথে চলি, ভয় পাই না’, গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে কেন্দ্রকে পালটা রাহুলের appeared first on Sangbad Pratidin.