সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের মা মঞ্জু সিংয়ের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লোকসভা নির্বাচনের পর তাঁর দ্বিতীয় রায়বরেলি সফরে প্রয়াত ক্যাপ্টেনের মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। লোকসভার বিরোধী দলনেতার সামনে মঞ্জু ক্ষোভ উগরে দিলেন অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে। তাঁর দাবি, মোদি সরকার যেন সেনাকে দুভাগে ভাগ না করে।
রায়বরেলির এক গেস্টহাউসে রয়েছেন ক্যাপ্টেন অংশুমানের মা। তিনি রাহুলের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, ''আমি সরকারকে অনুরোধ করছি যেন সেনাকে দুভাগে ভাগ না করা হয়।'' তাঁর মতে, অগ্নিবীরদের নিয়োগ করা হচ্ছে মাত্র চার বছরের জন্য। ফলে এর পর তাঁদের কেরিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। মঞ্জুর কথায়, ''ওরা (অগ্নিবীর) মানসিক ও শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে চার বছর শেষে। ওদের পক্ষে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি করছে। এটা ঠিক নয়।''
[আরও পড়ুন: নজির গড়া পারফরম্যান্সে দুরন্ত ইয়ামাল, ফ্রান্সকে ছিটকে ইউরো ফাইনালে স্পেন]
প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনীর (Indian Army) লোকবল অক্ষুন্ন রেখে আধুনিকীকরণের স্বার্থে অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এর মাধ্যমে সেনায় অস্থায়ীভাবে ৪ বছরের জন্য কর্মী নিয়োগ হচ্ছে। যাদের পোশাকি নাম ‘অগ্নিবীর’ (Agniveer)। উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মতো রাজ্যে এই প্রকল্প ঘিরে ওঠা অভিযোগের কারণেই বিজেপির লোকসভার ফলাফল প্রভাবিত হয়েছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
সম্প্রতি সংসদে দাঁড়িয়ে রাহুলকে (Rahul Gandhi) দাবি করতে দেখা গিয়েছিল, মোদি সরকার সেনার মধ্যে দুটি গোষ্ঠী তৈরি করে ফেলেছে। একটি গোষ্ঠী পেনশন পেলেও অগ্নিবীররা গোলাগুলিতে নিহত হলেও তাঁদের পরিবার পেনশন বা অন্য কোনও আর্থিক সাহায্য পায় না। আর এপ্রসঙ্গেই তাঁর অভিযোগ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সংসদে দাঁড়িয়ে কর্তব্যরত অবস্থায় শহিদ অগ্নিবীরের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে 'মিথ্যে' বলেছেন।
[আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং ও বোলিং কোচ হিসেবে কাকে পছন্দ? জানিয়ে দিলেন গম্ভীর]
সম্প্রতি শহিদ অগ্নিবীর অজয় কুমারের পরিবারের ক্ষতিপূরণ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতা। তাঁরা কোনও অর্থসাহায্য পাননি বলে দাবি করেছিলেন রাহুল। কংগ্রেস নেতার দাবি নস্যাৎ করে সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, শহিদের পরিবারকে ৯৮ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। কিন্তু এর পরই রাহুল পালটা দাবি করেন, নিহতর পরিবার যা পেয়েছে তা বিমার অর্থ। কিন্তু কোনও ক্ষতিপূরণ তাদের দেওয়া হয়নি। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, 'দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া শহিদদের পরিবারকে সম্মান করা উচিত। কিন্তু মোদি সরকার ওদের সঙ্গে বৈষম্য করছে। সরকার যাই বলুক, এটা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। এবং আমি এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই থাকব।'